মাঠে বর্ণবাদের শিকার হলেন বার্সা ডিফেন্ডার
স্পেনে বর্ণবাদ দিনে দিনে মহামারি আকার ধারণ করছে। এই বর্ণবাদের বিরুদ্ধে গত কয়েক বছর ধরেই লড়ছেন রিয়াল মাদ্রিদের উইঙ্গার ভিনিসিউস জুনিয়র। বিভিন্ন ক্লাবের বেশ কয়েকজন সমর্থক শাস্তিও পেয়েছেন স্টেডিয়ামে বর্ণবাদী আচরণ করে। তবে তাতেও এই ঘৃণ্য আচরণ থেমে নেই। চলতি মৌসুমেও লা লিগার গায়ে বর্ণবাদের কলঙ্ক লেগেছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতটা বার্সেলোনার জন্য ভালো যায়নি। কম শক্তিশালী গেতাফের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে লিগের শিরোপা পুনরুদ্ধারের দৌড়ে আরও পিছিয়ে পড়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল। তবে ম্যাচের ফলকে পেছনে ফেলে এই ম্যাচ এখন আলোচনায় ভিন্ন কারণে। গেতাফের মাঠ কলোসিয়াম আলফনসো পেরেজে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বার্সেলোনার ডিফেন্ডার আলেহান্দ্রো বালদে।
ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমকে বালদে তার সঙ্গে হওয়া বর্ণবাদী আচরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ম্যাচ চলাকালীন এই ঘটনা রেফারির নজরে আনলে তিনি (রেফারি) বর্ণবাদ বিরোধী প্রটোকল যথাযথভাবে চালু করেন বলেও জানান এই ডিফেন্ডার।
মুন্দো দেপোর্তিভোকে বালদে বলেন, 'আমাকে বর্ণবাদী উপহাস করা হয়েছে। এটা প্রথমার্ধ চলাকালীন সময়ে ঘটে এবং ম্যাচ শেষ হলে আমি রেফারিকে এটা জানাই, সে তখন প্রটোকল চালু করে।'
এই ম্যাচে রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা গঞ্জালেস ফুয়ের্তেস আনুষ্ঠানিক ম্যাচ রিপোর্টে এই ঘটনার উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, 'ম্যাচের অর্ধ-বিরতির সময় এবং এখনও (ম্যাচের শেষে) মাঠে, অতিথি দলের ৩ নম্বর খেলোয়াড় আমার ২ নম্বর সহকারীকে বলেছিল যে তার প্রতি বর্ণবাদমূলক প্রকৃতির বার্তা উচ্চারিত হয়েছে।'
তিনি তার রিপোর্টে আরও লিখেছেন, 'ড্রেসিং রুমে পৌঁছে, আমি উভয় দলের প্রতিনিধি এবং ইউসিও-কে জানাই এবং দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর আগে বর্ণবাদবিরোধী প্রোটোকল কার্যকর করি।'
এর আগে গত অক্টোবরে এল ক্লাসিকোয় রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে লামিনে ইয়ামাল ও রাফিনিয়া বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছিলেন। সে সময় মারাত্মক পর্যায়ের অডিওভিজুয়াল প্রমাণ পাওয়া গেলেও রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এর ব্যাখ্যা হিসেবে বলা হয়, খেলোয়াড়ের পক্ষ থেকে কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরণের অভিযোগ আনা হয়নি। তবে গেতাফের মাঠে বালদের সঙ্গে ঘটা ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
ম্যাচ শেষে রাতে বালদে ইনস্টাগ্রামে ভক্তদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, 'ফুটবল কিংবা জীবনে বর্ণবাদের কোনো স্থান নেই। এ ধরণের আচরণকে নির্মূল করতে আমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতেই হবে। এটা লজ্জার বিষয় যে, এই ২০২৫ এ এসেও এই ধরণের ঘটনা ঘটছে।'