ক্যারিয়ারসেরা বোলিং মেহেদির
৪-০-১৩-৪। কিংস্টনে ক্যারিয়ারসেরা বোলিংটাই করে ফেললেন শেখ মেহেদি হাসান। ডানহাতি স্পিনার ১৩ রানে তুলে নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরান, জনসন চার্লজ, আন্দ্রে ফ্লেচার ও রোস্টন চেজের উইকেট। এরপর দেড়শ ছুঁইছুঁই সংগ্রহের (৬ উইকেটে ১৪৭) ম্যাচে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে বাংলাদেশ।
তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্পিনার মেহেদি চারটি উইকেটই শিকার করেছেন পাওয়ারপ্লের আশপাশে। নিকোলাস পুরানকে দিয়ে শুরু। ৬ বলে ১ রান করেই বিধ্বংসী ব্যাটার লিটন দাসের স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। জনসন চার্লজ ২০ রানে ক্যাচ দেন হাসান মাহমুদকে। লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ফ্লেচার, স্টাম্পিং হন রোস্টন চেজ। টি-টোয়েন্টি তো বটেই, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারেও এটা মেহেদীর সেরা বোলিং ফিগার। আগের সর্বোচ্চটি ছিল গত বছর, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ৭১ রানে ৪ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে তার সেরা বোলিং ফিগার ১৯ রানে ৩ উইকেট শিকার।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বোলিং ফিগারটি মোস্তাফিজুর রহমানের। মেতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ১০ রানে ৬ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইলিয়াস সানি ১৩ রানে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট।
মেহেদির ঘূর্ণিতে ৩৮ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু এক রভম্যান পাওয়েল ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ১৮০ ডিগ্রি। শেষ ওভারে পাওয়েলকে বিদায় করে বাংলাদেশকে জয় উপহার দেন হাসান মাহমুদ। টাইগাররা পায় ৭ রানের জয়।