পুরুষদেরও হতে পারে স্তন ক্যানসার!
সাধারণত অধিকাংশ মানুষই জানেন নারীদের হয়ে থাকে ব্রেস্ট ক্যানসার বা স্তন ক্যানসার। প্রতি বছরই এ রোগে অনেক নারীর মৃত্যু হয়। তবে এই ব্রেস্ট ক্যানসার যে পুরুষেরও হয়ে থাকে, তা খুব কম সংখ্যক মানুষ জানেন। পুরুষদের ক্ষেত্রেও নারীদের মতো একই ধরনের লক্ষণ থাকে ব্রেস্ট ক্যানসারের। যেমন পিণ্ড, স্তন ও ত্বকের পরিবর্তন।
পুরুষের স্তনের টিস্যুতে অস্বাভাবিক কোষ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকলে তখন তাদের স্তন ক্যানসার হয়। টিস্যুর অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধি টিউমার গঠনে ভূমিকা রাখে। যা থেকে বেনাইন বা সৌম্য অথবা ম্যালিগন্যান্ট হতে পারে। তবে পুরুষদের স্তন ক্যানসার হওয়ার বিষয়টি খুবই বিরল। এরপরও এর লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ প্রদানকারী ওয়েবসাইট হেলথ লাইন এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাহলে প্রতিবেদন অনুযায়ী পুরুষের স্তন ক্যানসার সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
সাধারণ লক্ষণ: প্রায় ক্ষেত্রেই ব্যথাহীন এবং সাধারণত স্তনবৃন্ত বা এরিওলার নিচে পিণ্ড অনুভব হয়। অনেক সময় স্তনবৃন্ত উল্টানো, ফুসকুড়ি বা স্তনের চারপাশে স্কেলিং বা এতে স্রাবের মতো দেখা যায়। কখনো কখনো রক্তাক্তও হয়ে থাকে। আক্রান্ত স্তনের নিকট লিম্ফ নোড ফুলে যায়। স্তনের ত্বক লালভাব, জ্বালাপোড়া অনুভব বা টেক্সচার দেখা দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ ব্যথাও হতে পারে।
পিণ্ডের বৈশিষ্ট্য: পুরুষের স্তন ক্যানসার অনেকটা নারীদের সঙ্গে মিল প্রায়। তবে স্তনের টিস্যুর গঠন এবং হরমোন পার্থক্যের জন্য কিছুটা ভিন্নও হতে পারে।
অবস্থান: পুরুষের স্তন ক্যানসারের পিণ্ড সাধারণত স্তনবৃন্ত বা এরিওলার কাছাকাছি বা নিচে থাকে। এখানে পুরুষের স্তনের সীমিত টিস্যুগুলোর অধিকাংশই ঘনীভূত হয়। কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্ত স্তনের কাছাকাছি বাহুতে (অ্যাক্সিলা) আশপাশের স্তনের টিস্যুতে বা লিম্ফ নোডগুলোয়ও পিণ্ড পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
শারীরিক বৈশিষ্ট্য: পুরুষের স্তন ক্যানসার হলে শারীরিক বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে স্তন দৃঢ় বা শক্ত হওয়া। অধিকাংশ সময় ব্যথাহীন হয়। তবে কখনো কখনো কোমলও হয়ে থাকে। অবস্থান স্থিরও হতে পারে, আবার সহজে চলাচলের অযোগ্যও হতে পারে। পিণ্ডের ওপর ত্বকের পরিবর্তনের সঙ্গে সম্ভাব্য সম্পর্ক যেমন ডিম্পলিং, ঘনীভূত হতে পারে।
কখন চিকিৎসকের দ্বারস্থ হবেন: কখনো যদি মনে হয় বা অনুভব করেন স্তন বা বগলের নিচে ফোলাভাব, স্তনে ব্যথা কিংবা কোমলতা, স্তনবৃন্তের পরিবর্তন, স্তনের ত্বকের পরিবর্তন, স্তনে স্রাব (বিশেষ করে রক্তাক্ত বা অন্য কোনো বর্ণ) এবং স্তনে হওয়া কোনো পিণ্ড স্থায়ী বা সময়ের সঙ্গে অবস্থান পরিবর্তনের মতো লক্ষণগুলো দেখলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।