ভারতকে উড়িয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল অস্ট্রেলিয়া
পার্থে বড় ব্যবধানে হেরে শুরুতেই সিরিজে পিছিয়ে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। স্বাগতিক অ্যাডিলেডে ঘুরে দাঁড়ালো দারুণভাবে। ভারতকে আড়াই দিনে উড়িয়ে দাপটের সঙ্গে সিরিজে ফিরে এলো তারা। সময়ের বিবেচনায় ইতিহাসে নাম উঠল এই টেস্টের। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার সবচেয়ে কম বল খেলে ফল আসা টেস্ট এটিই।
অ্যাডিলেডে রোববার তৃতীয় দিনেই ম্যাচের ফল হতে যাচ্ছে বলে আভাস মিলেছিল আগের দিন। অনেকটা আনুষ্ঠানিকতা সারতে নেমে খুব বেশি সময় নেয়নি প্যাট কামিন্সের দল। ভারতকে ১০ উইকেটে গোলাপি বলের টেস্টে হারাল তারা। এতে পাঁচ ম্যাচের বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে এলো ১-১ সমতা।
ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস ১৭৫ রানে থেমে গেলে ১৯ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়ার। ৩.২ ওভারে ওই রান তুলে নেন দুই অজি ওপেনার। বলের হিসেবে এই টেস্টের আয়ু ছিলো ১০৩১, দুই দলের মধ্যেকার এটাই সংক্ষিপ্ততম টেস্ট। এর আগে গত বছর ইন্দোরে ১১৩৫ বলে টেস্ট জিতেছিলো ভারত।
দ্বিতীয় দিন শেষে এমনকি ইনিংস হারের শঙ্কায়ও পড়েছিল ভারত। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ১৫৭ রানের লিড পাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে নেমেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রোহিত শর্মার দল।
৫ উইকেটে ১২৮ রান নিয়ে দিন শুরু করা ভারত কোন রান যোগ করার আগেই হারায় রিশভ পান্তের উইকেট। ৩১ বলে ২৮ করা কিপার ব্যাটার মিচেল স্টার্কের বলে ক্যাচ দেন স্লিপে। এরপর ভারতের গুটিয়ে যাওয়া ছিল স্রেফ সময়ের ব্যাপার।
অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এরপর টানা তিন উইকেট তুলে পুরো করেন নিজের পাঁচ শিকার। রবিচন্দ্রন অশ্বিন, হারশিত রানারা দ্রুত ফিরলেও এই ইনিংসেও কিছুটা প্রতিরোধ দেখান নিতিশ কুমার রেড্ডি। দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা পেস অলরাউন্ডার প্রথম ইনিংসের মতন দ্বিতীয় ইনিংসেও করেন ৪২ রান, অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার পর ভারতের চার ইনিংসের মধ্যে তিনবারই তার চল্লিশ ছাড়ানো রান হলো দলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। এতে বোঝা যায় কতটা ভঙ্গুর ছিলো ভারতের ব্যাটিং।
অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচ জেতাতে প্রথম ইনিংসে ৪৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে বড় ভূমিকা রাখেন স্টার্ক, দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে বোলিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন কামিন্স। তবে ব্যাট হাতে নিশ্চিতভাবেই সবচেয়ে ভূমিকা রেখেছেন ট্রেভিস হেড। বাঁহাতি ব্যাটারের ১৪১ বলে ১৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস জেতার ভিত গড়ে দেয় অজিদের।