বাতের ব্যথার সমাধান জানালেন চিকিৎসক
শীত শুরু হয়েছে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় মেজাজও বেশ নীরব। শরীর গরম রাখার জন্য নানা ধরনের গরম কাপড় পরা হলেও, অন্যান্য কিছু সমস্যা রয়েছে। শীতকালীন সমস্যার মধ্যে অন্যতম বাতের অসুখ। কেননা, শীত শুরু হতেই বাত রোগীদের ব্যথা-যন্ত্রণা বাড়তে শুরু করে। বিভিন্ন জয়েন্টও ফুলে যায়।
এ অবস্থায় শীত সামলে বাতের ব্যথা থেকে সুস্থ থাকা জরুরি। শুরুতে ঘরোয়াভাবে কিছু উপায় অবলম্বন করলে অবশ্য বাত ব্যথা থেকে কিছুটা মুক্তি মেলে। এ ব্যাপারে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও রিউম্যাটোলজিস্ট রুদ্রজিৎ পাল। এবার তাহলে বিষয়টি নিয়ে জেনে নেয়া যাক।
সমস্যা বাড়ার কারণ: চিকিৎসক রুদ্রজিৎ পাল বলেন, শীত শুরু হতেই বাতের ব্যথা বেড়ে থাকে। মূলত তাপমাত্রা কমলে শরীর খুবই সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে যেসব নার্ভ মস্তিষ্কে ব্যথার সংকেত পৌঁছে দেয় তা খুবই সক্রিয় হয়ে উঠে। এ কারণে বাতের ব্যথা বেড়ে যায়। এ সময় শুধু আর্থ্রাইটিসের ব্যথা নয়, যেকোনো ধরনের ব্যথাই বাড়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য শীতের শুরুতেই ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।
চিকিৎসকের পরামর্শ: শীতের শুরুতে একবার চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নেয়া উত্তম। চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সমস্যার কথা বলতে হবে। চিকিৎসক সব শোনার পর প্রয়োজনীয় ওষুধ দেবেন। অবশ্য এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দিয়ে থাকেন। ফলে ব্যথা-যন্ত্রণা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। এ থেকে সুস্থজীবন কাটানো সম্ভব।
সেঁক নেয়া: শীতে বাত বা অন্য কোনো ব্যথা বাড়লে তাতে সেঁক নিতে হবে। এতে ব্যথার আশঙ্কা অনেকটাই কমবে। কেননা, গরম সেঁক নেয়ার ফলে ব্যথা জায়গায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। ফলে ব্যথা কমে। এ জন্য প্রতিদিন দুই বেলা অন্তত ৩০ মিনিট করে গরম সেঁক নিতে পারেন। তাতেই ব্যথা অনেকটা কমবে বলে পরামর্শ চিকিৎসক রুদ্রজিৎ পালের।
গরম পানিতে গোসল: অনেকেই শীতের সময়ও ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করেন। তারা মনে করেন, ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে হয়তো শরীর ভালো থাকবে। আসলে তা নয়। এ ধরনের ভুল করা যাবে না। এতে ব্যথা-যন্ত্রণা অনেকটাই বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এর বিপরীতে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। তবে গরম পানি মাথায় ঢালবেন না। শুধুই শরীরে ঢালবেন। এতেই সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্তি পাবেন।
অবশ্যই ব্যায়াম: শীত শুরু হতেই ব্যায়াম নিয়মিত করতে হবে। এতে ব্যথা-যন্ত্রণা বৃদ্ধির সম্ভাবনা কমে আসবে। এ জন্য সবার আগে ব্যায়াম শুরু করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ থাকরে সেই অনুযায়ীও ব্যায়াম করতে পারেন।