কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আত্মীয়তা ও আঁতাত করে প্রকাশ্যে থেকেও ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আল সাইফুল সোহাগ। বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনাও ছিল। অবশেষে ১১ নভেম্বর বনানী থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে গুঞ্জন উঠেছে ইচ্ছাকৃতভাবে পুলিশের হাতে ধরা দিয়েছেন তিনি। সে কারণে তার কোনো রিমান্ডও চায়নি পুলিশ। এখন তিনি জেলে রয়েছেন।
৫ আগষ্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর একে একে বিভিন্ন মামলায় আটক করা হচ্ছে আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। সকল স্তরের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নামে বেনামে হয়েছে একাধিক মামলা, শিকার হয়েছে হামলার। তবে এর ব্যাতিক্রম কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর (সদ্য প্রয়াত) একান্ত বিশেষ সহযোগী (এপিএস) শামীম আল সাইফুল সোহাগ। তার নামে হয়নি একটাও মামলা, হয়নি হামলাও।
পটুয়াখালীর স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ হামলা মামলার শিকার নেতাদের অভিযোগ, স্থানীয় বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতার সঙ্গে আত্মীয়তার সুবাদে ও তার আশ্রয়ে সবকিছু থেকেই এতোদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন এক সময়ে আওয়ামীলীগের সংসদ নির্বাচনে মননায়ন প্রত্যাশী ও গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আল সাইফুল সোহাগ।
৫ আগষ্টের পর থেকে হামলা ও মামলার শিকার হয়ে কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলা এবং মহিপুর থানায় ও কুয়াকাটার আওয়ামী লীগের সব নেতা কর্মরা সবাই এলাকা ছেড়ে জীবন বাঁচাবার তাগিদে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে সোহাগ ছিলেন এলাকায়। অবশ্য তার অনুসারীরা বলে থাকেন, তিনি এলাকার মানুষের উপহার করেছেন বলেই প্রকাশ্যে থাকতে পেরেছেন।
আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা অভিযোগ করে বলেন, সোহাগ আওয়ামীলীগের এই দুর্দিনে বিএনপির সঙ্গে আঁতাত করে কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী উপজেলা ও মহিপুর থানার তৃণমূলের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা জড়িয়ে দলকে ক্ষতিগ্রস্ত ও নেতা কর্মীদের হয়রানি করছে । অথচ তিনি এতো বড় প্রভাবশালী নেতা হয়ে একটা মামলারও আসামি হলেন না, কোন হামলারও শিকার হলেন না। সেটিও যেন এক বিস্ময়! অথচ আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের নামেও যেখানে ৩-৪ টা মামলা হয়েছে, ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং অনেকে জেল খাটছেন।
তবে বিএনপি নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে সোহাগ ও তার সমর্থকদের দ্বারা বিভিন্ন হামলা মামলার শিকার হয়েছেন তারা। কোনো ধরনের আঁতাত তারা মেনে নেবেন না।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মো: হুমায়ূন সিকদারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি।
Comments