হাসিনার মামলার রায়ের সংবাদ সংগ্রহে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের উপস্থিতি
চব্বিশের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের মামলার রায়ের সংবাদ সরাসরি সংগ্রহ করতে উপস্থিত রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
আজ (সোমবার) সকাল থেকেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচারের কাজে দেশি গণমাধ্যমের পাশাপাশি বিবিসি, আল জাজিরা, এপি, এএফপিসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কর্মীদের দেখা যায়। এদিকে আজকের রায়টি সরাসরি সম্প্রচার করবে দেশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভি। আর বিটিভি থেকেই এই রায় সম্প্রচার করবে রয়টার্স।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ বেলা ১১ টার পর মামলার রায় পড়া শুরু করবেন। ট্রাইব্যুনালে অপর দুই সদস্য হলেন বিচারক মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
বহুল আলোচিত এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ এনে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছেন প্রসিকিউশন।
অন্যদিকে, আসামিদের নির্দোষ দাবী করে খালাস চেয়েছেন তাদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী। এছাড়া রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের খালাস চেয়েছেন তার আইনজীবী।
এই মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস. এইচ. তামিম শুনানি করেন। এছাড়া শুনানিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বি. এম. সুলতান মাহমুদ, শাইখ মাহদি, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যান্য প্রসিকিউটরা।
অন্যদিকে, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। আর রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
একপর্যায়ে দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
Comments