গাজা শহর ‘ভাগাভাগি’ করার পরিকল্পনা ট্রাম্পের কাছে গেছে: ইসরায়েলি মন্ত্রী

ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী এবং উগ্র ডানপন্থী রিলিজিয়াস জায়নিস্ট পার্টির নেতা বেজালেল স্মোট্রিচ বলেছেন, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ফিলিস্তিনের গাজা শহর 'রিয়েল এস্টেট সম্পদের' একটি উৎস হয়ে উঠতে পারে। ইতোমধ্যে গাজা দখলের পর জমি ভাগাভাগি করে নেওয়া নিয়ে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং এই পরিকল্পনা পর্যালোচনার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
হিব্রু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, তেল আবিবে একটি রিয়েল এস্টেট সম্মেলনে বেজালেল স্মোট্রিচ এই পরিকল্পনাগুলোর রূপরেখা তুলে ধরেন।
ইসরায়েলি মন্ত্রী বলেন, শিল্প পেশাদাররা ইতোমধ্যেই একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রস্তুত করেছেন এবং পর্যালোচনার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে জমা দিয়েছেন। আমরা পরীক্ষা করছি কীভাবে এটি একটি রিয়েল এস্টেট ধন-সম্পদে পরিণত হয় - আমি মজা করছি না।
স্মোট্রিচ উল্লেখ করেন, মার্কিন অংশীদারদের সঙ্গে পরিকল্পনাটি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করছেন। তিনি বলেন, আমি আমেরিকানদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি এবং আমি এটি গুরুত্ব সহকারে বলছি, কারণ আমরা এই যুদ্ধের জন্য প্রচুর অর্থ ঢেলেছি। জমি কীভাবে ভাগ করে নেব, তা নিয়ে কাজ করতে হবে। ধ্বংসের পর্যায় আমরা ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করেছি - এখন আমাদের নির্মাণ করতে হবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি গাজা উপত্যকাকে মার্কিন মালিকানাধীনে রাখতে চান। তিনি শহরটিতে মধ্যপ্রাচ্যের 'রিভেরা' হিসেবে রূপান্তরিত করার কথা বলেন।
ট্রাম্প সেখানে মার্কিন সেনা পাঠাতেও প্রস্তুত থাকার কথা জানান এবং গাজা থেকে প্রতিবেশী মিশর ও জর্ডানে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
গত ১৭ মে এনবিসি নিউজ রিপোর্ট করেছে, ট্রাম্প প্রশাসন গাজা উপত্যকা থেকে দশ লাখ ফিলিস্তিনিকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় সরানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
৩১ আগস্ট ওয়াশিংটন পোস্ট মার্কিন প্রশাসনের সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, ট্রাম্পের গাজা পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনায় 'কমপক্ষে ১০ বছরের জন্য অঞ্চলটিকে আমেরিকার অধীনে রাখা এবং এর সমস্ত বাসিন্দাদের অস্থায়ী পুনর্বাসন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।'
ইসরায়েল এই প্রস্তাবগুলোকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ সুদান এবং সোমালিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছে।
তবে আরব রাষ্ট্রগুলো এই ধারণাটিকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা জোর দিয়ে বলেছে, গাজার বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুতি অগ্রহণযোগ্য।
Comments