আদালতের পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রধান বিচারপতি

দাঙ্গা-সংক্রান্ত আট মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জামিন নাকচের বিষয়ে লাহোর হাইকোর্টের কিছু পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির প্রধান বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদি। মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত এক শুনানিতে ইয়াহিয়া আফ্রিদি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট এমন কোনো পর্যবেক্ষণ দেবে না, যা চলমান বিচারিক কার্যক্রমকে প্রভাবিত করতে পারে। জামিন ইস্যুতে পরবর্তী শুনানির জন্য ১৯ আগস্ট পাঞ্জাব সরকারকে নোটিশ জারি করেন তিনি।
২০২৪ সালের নভেম্বর লাহোরের একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত ২০২৩ সালের ৯ মে দাঙ্গা-সংক্রান্ত অন্তত আটটি মামলায় ইমরান খানের জামিন নাকচ করেন। এসব মামলার মধ্যে লাহোর ক্যান্টনমেন্টে সেনাবাহিনীর এক কমান্ডারের বাড়িতে হামলার ঘটনাও ছিল। কারাবন্দি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরানের পক্ষে এ আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনও ২৪ জুন লাহোর হাইকোর্ট খারিজ করে দেন। কয়েকদিন পর ইমরান হাইকোর্টের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন।
গতকাল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চে জামিন আবেদন শুনানি পুনরায় শুরু হয়। শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদি বলেন, এ মুহূর্তে আমরা এই মামলার পর্যবেক্ষণগুলো সঠিক কিনা, সে বিষয়ে যাব না। আপাতত আইনি দিকগুলোতেও ঢুকতে চাই না। যদি আমরা আইনি পর্যবেক্ষণ নিয়ে মন্তব্য করি, তাহলে উভয় পক্ষের যে কোনো একজনের মামলা প্রভাবিত হতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট এমন কোনো পর্যবেক্ষণ দেবে না, যা মামলা প্রভাবিত করে।
ইমরান জামিন না পেলেও দাঙ্গা-সংক্রান্ত দুটি মামলায় খালাস পাওয়ার পর পিটিআইর জ্যেষ্ঠ নেতা শাহ মাহমুদ কোরেশিকে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন লাহোরের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত। গতকাল বিচারক মনজার আলি গিল তাঁর রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে লাহোরের কোট লখপত কারাগারের সুপারিনটেনডেন্টকে এ নির্দেশ দেন।
এর আগে গত সপ্তাহের শেষ দিকে আদালত কোরেশিকে জামিন দেন। তবে একই রায়ে আদালত পিটিআইর নেতা ড. ইয়াসমিন রশিদ, সিনেটর ইজাজ চৌধুরী, মিয়ান মাহমুদ উর রশিদ, সাবেক পাঞ্জাব গভর্নর ওমর সারফরাজ চিমাসহ আরও কয়েকজনকে দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ দাঙ্গা শুরু হয় পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পর। সেই সময় ক্ষুব্ধ জনতা একাধিক সামরিক স্থাপনায় ভাঙচুর চালায়। খবর দ্য ডন ও জিও নিউজের।
Comments