নতুন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করলো ইরান

গত মাসে ইসরায়েলের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো সরিয়ে নতুন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বসিয়েছে ইরান। আকাশসীমায় নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই সফলভাবে এই সিস্টেম প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। রোববার (২০ জুলাই) ইরানের সামরিক বাহিনীর নিয়মিত অপারেশন বিভাগের উপপ্রধান মাহমুদ মুসাভির বরাত দিয়ে দেশটির আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা মেহের এই তথ্য জানিয়েছে।
মুসাভি বলেছেন, 'আমাদের কিছু আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা গোপন করার মতো কিছু নয়। তবে আমাদের সহকর্মীরা দেশীয় সম্পদ ব্যবহার করে সেগুলো প্রতিস্থাপন করেছেন। পূর্ব-নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষিত যে ব্যবস্থা ছিল, তা দিয়ে আকাশসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।'
যুদ্ধের সময় ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার অপরাধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'অপরাধী ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা ইরানের মাটিতে কাপুরুষোচিত আক্রমণ শুরু করেছিল। তাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল আমাদের রাডার এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমরেডরা তাদের স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা অবস্থান করে শত্রুর মুখোমুখিও হয়েছিল।'
গত ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল এবং ১২ দিন ধরে ইরানের সামরিক, পারমাণবিক এবং আবাসিক এলাকায় আঘাত করে। ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নাতাঞ্জ, ফোরদো এবং ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক আক্রমণ চালায়।
আগ্রাসনের পরপরই ইরানের সামরিক বাহিনী শক্তিশালী পাল্টা আক্রমণ চালায়। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি-এর অংশ হিসেবে ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ২২টি প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় অধিকৃত অঞ্চলজুড়ে।
এছাড়াও মার্কিন হামলার প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিম এশিয়ার বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটি কাতারের আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরানি সশস্ত্র বাহিনী। পরে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে ২৪ জুলাই যুদ্ধবিরতিতে যায় তেহরান-তেল আবিব।
Comments