বহিষ্কৃতদের গ্রহণের জন্য আফ্রিকাকে চাপ দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন: নাইজেরিয়া

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কৃত বিদেশিদের গ্রহণ করতে আফ্রিকান দেশগুলোকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চাপের কাছে নাইজেরিয়া নতি স্বীকার করবে না বলে জানিয়েছেন নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউসুফ তুগার।
নাইজেরিয়ান চ্যানেলস টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, 'আপনাকে এটা মনে রাখতে হবে, আমেরিকা আফ্রিকান দেশগুলোর ওপর যথেষ্ট চাপ দিচ্ছে, যাতে ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের আমেরিকা থেকে আফ্রিকায় নির্বাসিত করা হয়। কিছু লোককে সরাসরি কারাগার থেকে বের করে আনা হচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলোর পক্ষে ভেনেজুয়েলার বন্দীদের গ্রহণ করা কঠিন হবে। আমাদের নিজস্ব অনেক সমস্যা রয়েছে। আমাদের ইতোমধ্যেই ২৩ কোটি মানুষ রয়েছে।'
গত মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর 'পারস্পরিক অ-অভিবাসী ভিসা নীতিতে' পরিবর্তন ঘোষণা করেছে, যার মাধ্যমে ক্যামেরুন, ইথিওপিয়া, ঘানা এবং নাইজেরিয়াসহ বেশিরভাগ দেশ থেকে আসা ভ্রমণকারীদের জন্য আমেরিকায় প্রবেশের সময়কাল কমানো এবং শর্তাবলী কঠোর করা হয়েছে।
আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ায় ওয়াশিংটনের মিশনের প্রকাশিত এক বিবৃতি অনুসারে, 'অবিলম্বে কার্যকর হওয়ার পর, নাইজেরিয়ার নাগরিকদের জন্য জারি করা বেশিরভাগ অ-অভিবাসী এবং অ-কূটনৈতিক ভিসা হবে তিন মাসের মেয়াদসহ একক-প্রবেশ ভিসা।'
মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্প তার শুল্ক হুমকিও দ্বিগুণ করে বলেন, ব্রিকসের মাধ্যমে 'আমেরিকা বিরোধী নীতির সঙ্গে সংযুক্ত' যে কোনো দেশকে শুল্কের মুখোমুখি হতে হবে। তিনি বলেন, ব্রিকসের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০% কর দিতে হতে পারে।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে নাইজেরিয়া, উগান্ডা এবং আফ্রিকার বাইরের মোট সাতটি দেশ ব্রিকস অংশীদার রাষ্ট্রে পরিণত হয়। নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু ৬-৭ জুলাই ব্রাজিলে দুই দিনের ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন।
Comments