পাকিস্তানে বরযাত্রীর গাড়ি নদীতে পড়ে নিহত ২৬
উত্তর পাকিস্তানের গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলে একটি বরযাত্রীবাহী বাস ইন্দুস নদীতে পড়ে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বর এবং কনেও রয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে তেলচি সেতুর ওপর দ্রুতগতিতে চলমান বাসটি ছিটকে নদীতে পড়লে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
বাসটিতে দুই ডজনের মতো যাত্রী ছিলেন। তারা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফিরছিলেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ১৩টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনার পর বাসের আরোহীদের মধ্যে কেবল কনে বেঁচে ছিলেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি সেখানেই মারা যান।
এ ঘটনায় আরও ১২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তবে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে তাদেরও মৃত বলে ধরে নিয়েছেন কর্মকর্তারা। যদিও তাদের দেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
জিও নিউজ জানিয়েছে, বাসটি পাঞ্জাব প্রদেশের চকওয়াল শহরের দিকে যাচ্ছিল। দ্রুতগামী এই বাসটি ডায়ামার জেলার তেলচি সেতুর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ে যায়।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এ দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'এক্স'-এ এক বার্তায় নিখোঁজদের উদ্ধারে তৎপরতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন।
পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনা একটি নিয়মিত ঘটনা। পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রতি বছর গড়ে নয় হাজার সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
গত ২৫ আগস্ট পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাওলাকোট শহরের কাছে একটি গাড়ি খাদে পড়ে ২৯ জন নিহত হন। একই দিনে বেলুচিস্তানের লাসবেলা জেলায় আরও একটি বাস খাদে পড়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়।