পুরান ঢাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড, ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বাঁধন

মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে নির্মমভাবে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার ঘটনা নিয়ে আলোচা চলছে। নিহত ব্যক্তির নাম লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯)। ঘটনাটি ঘটে গত ৯ জুলাই (বুধবার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে, হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে ঘটলেও আলোচনায় আসে শুক্রবার (১১ জুলাই)। মূলত হত্যার ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে শুরু হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া।
ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি মাটিতে ফেলে সোহাগকে পাথর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করছে, অথচ আশপাশের মানুষ নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে ছিল। এই অমানবিক নিষ্ক্রিয়তা সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে কেবল সাধারণ মানুষ নয়, শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। বাঁধন শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে হত্যাকাণ্ডের একটি স্কেচ ছবি শেয়ার করে বাঁধন বলেন, এটা এক ধরনের ভয়াবহ ছবি। একজন মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে আর চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকা সবাই চুপচাপ দেখছে কেউ কিছু করছে না। কেউ কীভাবে এত নিষ্ঠুর হতে পারে? এটা কেমন দেশ?
সরকার ও প্রশাসনের নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই অভিনেত্রী। বাঁধন বলেন, আর সরকার? সবসময়ের মতো নীরব। আমি কি এই দেশে নিরাপদ? সত্যিই কি আমি যা অনুভব করি সেটা বলার অনুমতি আছে? নাকি আমি কি পরবর্তী লক্ষ্যবস্তু হব—শুধুমাত্র সত্য বলার জন্য?
প্রসঙ্গত, মিটফোর্ড ঘটনাটি ঘিরে চাঁদা আদায়ের বিরোধ ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে। নিহত সোহাগ মিটফোর্ড এলাকার একজন দীর্ঘদিনের ভাঙারি ব্যবসায়ী ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, চাঁদা না দেয়ার কারণে যুবদলের কয়েকজন নেতাকর্মী এই বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় যুবদল তাদের অভিযুক্ত সদস্যদের বহিষ্কার করেছে। এদিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মূল আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
Comments