এক বছর পর ডিএসইতে লেনদেন ছাড়াল ১২’শ কোটি টাকা

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২৪ আগস্ট) দেশের উভয় শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের উত্থান দেখা গেছে। বিশেষ করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌছেছে। যা বাজারে বিনিয়োগকারীর আস্থা ও সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রতিফলন।
ডিএসইতে মোট লেনদেন দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০০ কোটি ২৬ লাখ টাকায়। এর আগে সর্বশেষ এ ধরনের বড় লেনদেন হয়েছিল ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট। বিগত সরকারের পতনের পরে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহনের পরে এই উত্থান ঘটে।
প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪.২০ পয়েন্ট বেড়ে ৫,৩৮৯.১৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএসইএস সূচক ০.৮১ পয়েন্ট কমে ১,১৭৯.৫২ পয়েন্টে নেমেছে, আর ডিএসই-৩০ সূচক ১২.১৬ পয়েন্ট বেড়ে ২,১০১.৫৯ পয়েন্টে পৌঁছেছে।
এদিন লেনদেন হওয়া ৪০০টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১৮০টির (৪৬%), কমেছে ১৯০টির (৪৭.৫%) এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির (৬.৫%)দর। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন সীমিত লেনদেনের পর এ ধরনের রেকর্ড বিনিয়োগকারীর আস্থা ও নতুন বিনিয়োগের আগ্রহের প্রতিফলন। লেনদেনের শীর্ষে ছিল বস্ত্রখাত। এ খতে ১৯৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়। এরপরে ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৭৮ কোটি টাকা এবং বীমা খাতে ১০৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৪০ লাখ টাকার, যা আগের দিনের ৮ কোটি ১৮ লাখ টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে ২৪৩টি কোম্পানির মধ্যে ১১৩টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১১৪টির কমেছে এবং ১৬টির দর অপরিবর্তিত ছিল। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫০.০৬ পয়েন্ট বেড়ে ১৫,৭৫৭.০১ পয়েন্টে পৌঁছেছে, যেখানে আগেরদিন সূচক কমেছিল ৪৩.৪২ পয়েন্ট।
বিশ্লেষকদের মতে, রেকর্ড লেনদেন ও সূচকের ঊর্ধ্বগতি বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে এনেছে। যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, সামনের দিনগুলোতে শেয়ারবাজার আরও স্থিতিশীল হবে এবং নতুন বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে।
Comments