অবশেষে লেনদেন না বাড়লেও সূচক ইতিবাচক

টানা ছয় কার্যদিবস পতনের পর অবশেষে পুঁজিবাজারে সূচক ইতিবাচক হয়েছে। লেনদেন না বাড়লেও আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বেলা ১২টার পরে শেয়ার কেনার চাপ বেড়ে যায়। এতে লেনদেন শেষে প্রধান সূচক ২২ পয়েন্ট ইতিবাচক হয়।
এদিন লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৭ পয়েন্ট কমে যায়। তবে বেলা ১২টার পর বাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে এবং সাড়ে ১২টার দিকে সূচক ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এই সময়টাতে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) সক্রিয়তা বাজারে বড় উত্থানের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে। তবে শেষ সময়ে কেনার প্রবণতা কিছুটা কমে গেলে বাজারে সূচকের উর্ধ্বগতি ধীর হয়ে আসে। এছাড়া, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে লাভ তুলে নেওয়ার প্রবণতা দেখা দেওয়ায় সেল প্রেসার বেড়ে যায়।
আজ বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বিনিয়োগকারী সংগঠনগুলোর সঙ্গে সরকারের ঘনিষ্ঠ মহলের আলোচনা। আজ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে বিনিয়োগকারী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের বৈঠক নির্ধারিত ছিল। বাজারের স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির বিষয়ে আলোচনার খবরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আস্থার সঞ্চার হয়। বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই বৈঠকের প্রভাবও বাজার উত্থানে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, পতনকালে অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করে দেন আতঙ্কে। তবে বাজার ঘুরে দাঁড়ালে তারা অপেক্ষা করতে থাকেন আরও বেশি লাভের আশায়, ফলে বিক্রির চাপ কমে যায়। সবমিলিয়ে বাজারে আজ কিছুটা স্বস্তির ভাব ছিল। তবে বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে বাজারসংশ্লিষ্ট সব পক্ষের আরও কার্যকর ও ধারাবাহিক পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ডিএসইতে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় প্রায় ১৮ কোটি টাকা কমে গেছে। অন্যদিকে, চট্টগ্রামের শেয়ারবাজারের লেনদেন নেমে এসেছে আগের দিনের অর্ধেকে। ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ২১ পয়েন্ট। ডিএস৩০ সূচক বেড়েছে ২১.২৬ পয়েন্ট। দর বেড়েছে ৫৫ শতাংশ বা ২২২টি কোম্পানির। দরপতনে ছিল ২৬ শতাংশ বা ৯৯টি কোম্পানির।
সাড়ে ৪৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে ব্যাংক খাত লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে। এ খাতের শেয়ার বিক্রির প্রবণতা বেশি থাকায় দরপতনের হার বেশি ছিল।
ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ৩০ কোটি টাকা। দর বেড়েছে ৭৬ শতাংশ কোম্পানির। খাদ্য খাতে সাড়ে ২৮ কোটি টাকা লেনদেন হয় । দর বেড়েছে ৬২ শতাংশ কোম্পানির। লেনদেনের শীর্ষে ছিল মিডল্য্যন্ড ব্যাংক, বিএটিবিসি ও স্কয়ার ফার্মা। তিনটি শেয়ারের দর বেড়েছে।
Comments