অনিশ্চয়তা না কাটলেও সামান্য ইতিবাচক

চলতি সপ্তাহের চার কার্যদিবসের মধ্যে দুইদিন বাজার ইতিবাচক ছিল। সপ্তাহের প্রথমদিন সূচক ইতিবাচক হলে গত দুইদিন পতনের ধারায় চলে যায়। আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ইতিবাচক গতি দেখা গেছে। রবি ও সোমবার এই দুই দিনে প্রধান সূচক কমেছে মোট ৪৪ পয়েন্ট। তবে আজ সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবস সূচকের নাটকীয় উত্থান-পতনের পর শেষপর্যন্ত বাজার ইতিবাচক ধারায় ফেরে।
আজকের লেনদেন শেষে ডিএসইর সব সূচক বেড়েছে। এদিন লেনদেনও আগের দিনের তুলনায় বেশ কিছুটা বেড়েছে, যা বাজারে নতুন করে কিছুটা আস্থা ফিরে আসার ইঙ্গিত দেয়।
তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চিত্র ছিল ভিন্ন। সিএসইতে কমেছে সব সূচক এবং লেনদেনের পরিমাণ। এ থেকেই স্পষ্ট, বাজারে এখনো পূর্ণ আস্থা ফিরেনি। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের দ্বিধা ও অনিশ্চয়তা কাজ করছে। এ কারনে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে ভিন্নমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে।
একদিকে বাজেটকে সামনে রেখে শেয়ারবাজারে সম্ভাব্য কর ছাড় ও নীতিগত সহায়তার আশ্বাস, অন্যদিকে বাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার ঘাটতি বাজারকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বাজারে আস্থার ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার জন্য শুধু কর প্রণোদনা নয়, বরং প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সংস্কার এবং বাজারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির নিশ্চয়তা। তবেই বিনিয়োগকারীদের মনোবল দৃঢ় হবে এবং বাজারে টেকসই উন্নয়ন দেখা যাবে।
আজ ডিএসইএক্স সূচক প্রায় ১৯ পয়েন্টম ডিএসইএস সূচক ৫ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট এবং ডিএস৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। আজ লেনদেন হয় ২৯৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা। দর বেড়েছে ২১১ টি ৫৪ শতাংশ কোম্পানির।
আজ প্রায় ৬৪ কোটি টাকা লেনদেন হয় ওষুধ ও রসায়ন খাতে। এ খাতে ৮২ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ব্যাংক খাতে সাড়ে ৪৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৫৮ শতাংশ কোম্পানির। খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ৩১ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দরবেড়েছে ৭৬ শতাংশ কোম্পানির। সূচক ইতিবাচক করতে ভূমিকা রেখেছে ব্রাক ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, বার্জার পিবেএল, স্কয়ার ফার্মা, ওয়ালটন, জিপি, রবির দরবৃদ্ধি।
প্রায় ৩১ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে ওরিয়ন ইনফিউশন লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে। প্রায় ১৬ কোট িটাকা লেনদেন হয় স্কয়ার ফার্মার। বিচ হ্যাচারির সোয়া ১২ কোটি টাকা লেনদেন হয়।
১০ শতাংশ বেড়ে ফু ওয়াং ফুড দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। এছাড়া সমতা লেদার, মিডল্যান্ড ব্যাংক, গোল্ডেন সন দরবৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় অবস্থান করে। দরপতনে ছিল ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, রিজেন্ট টেক্স, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ব্যাংক।
অপরদিকে চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক প্রায় ৭ পয়েন্ট, সিএএসপিআই সূচক ৮ পয়েন্ট নেতিবাচক ছিল। লেনদেন হয় সাড়ে ছয় কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া ১৭৪টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৬৯টির, কমেছে ৬৫টির, অপরিবর্তিত ছিল ৪০টির দর।
Comments