সাংবাদিক তুহিন হত্যায় ‘সরাসরি জড়িত’ আরমান গ্রেপ্তার

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় সরাসরি জড়িত রফিকুল ইসলাম আরমানকে ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১।
গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি রফিকুল ইসলাম আরমানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ নিয়ে মামলার ৮ আসামির সবাই গ্রেপ্তার হলো। সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র্যাব-১ এর সদস্যরা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার রবিউল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, তুহিন হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়াদের একজন আরমান। সিসিটিভি ফুটেজে নীল শার্ট পরা ব্যক্তিই তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরে তাকে খুঁজছিলাম। রাতে র্যাব তাকে ঢাকা থেকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।
এর আগে গত শনিবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় সরাসরি আটজনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে। এর মধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তবে পরে শহিদুল নামে একজনকে তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হলেও তাকে ওই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো থেকে বাদ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিক তুহিনকে ধাওয়া করে। তিনি দৌড়ে ঈদগাহ মার্কেটের একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নিলেও দুর্বৃত্তরা ভেতরে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজ মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
শুক্রবার সকালে নিহতের বড় ভাই সেলিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব ও পিবিআই আলাদাভাবে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। নিহত আসাদুজ্জামান তুহিনের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে। তিনি পরিবারসহ গাজীপুর নগরের চৌরাস্তা এলাকায় থাকতেন।
Comments