নাটোরে ৩০ কেজি গাঁজাসহ একজন আটক

নাটোরের বড়াইগ্রামে ৩০কেজি গাঁজাসহ সায়েম(৩৪) নামের একজন কাভার্ডভ্যান চালককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) রাত্রি আনুমানিক দেড়টার দিকে উপজেলার ছাতিয়ানগাছা মোল্লাপাড়া মোড় থেকে তাকে আটক করা হয়। অপর অজ্ঞাত দুই মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়। আটক সায়েম লালমনিরহাট জেলার সিংগাদার গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী নজরুল ইসলাম, মুস্তাক, আসাদুল সহ কয়েকজন জানান, রাত্রি আনুমানিক সাড়ে বারোটার দিকে একটি নীল রঙের কাভার্ডভ্যান ছাতিয়ানগাছা মোল্লাপাড়া মোড়ে থামিয়ে ওই গাড়ি থেকে একটি বস্তা নামায়। এসময় এলাকাবাসী চোর সন্দেহে ধাওয়া দিলে বস্তা ফেলে দুইজন পালিয়ে যায়। গ্রামবাসীর হাতে আটক হয় গাড়ীর চালক। পরে পুলিশে খবর দিলে বনপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আব্দুর রাজ্জাক সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রায় ৩০ কেজি গাঁজা ও বহনকারী কাভার্ডভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ন-২৩-৩৬৯৬) সহ ওই চালককে গ্রেফতার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, ধাওয়া খেয়ে আরো দুই ব্যক্তি পালিয়ে যায়, পুলিশ আসার পরে দেখায়ায় বস্তা ভর্তি ১৩ প্যাকেট ও একটি ব্যাগের মধ্যে গাঁজা বোঝায় ছিল, আনুমানিক ওজন ২৮ থেকে ৩০ কেজি হবে। এসময় গণমাধ্যম কর্মীদের খবর দিতে চাইলে এবং কাভার্ডভ্যানে আরো গাঁজা আছে কিনা দেখতে চাইলে এসআই আব্দুর রাজ্জাক এলাকাবাসীর উপর চড়াও হন।
এ ঘটনায় ৭কেজি গাঁজা জব্দ দেখিয়ে অজ্ঞাত দুইজনসহ তিন জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার সুশীল সমাজ।
প্রকৃত ঘটনা এবং উদ্ধারকৃত গাঁজার পরিমাণ জানতে এসআই আব্দুর রাজ্জাক এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন জানান, গতরাতে কর্তব্যরত অফিসার ৭ কেজি গাঁজা ও একটি কাভার্ড সহ একজনকে থানায় সপর্দ করে, পলাতক অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি সহ তিনজনের নামে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা মতে প্রায় ৩০ কেজি গাঁজা ৭ কেজি কিভাবে হলো ? এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, থানায় ১৪ প্যাকেটে ৭ কেজি গাঁজা পেয়েছি , সেই অনুসারে মামলা হয়েছে।
Comments