ফরিদপুরে জুলাই আন্দোলনের আসামি ও ভুয়া তথ্যে ‘সাহসী সাংবাদিক’ সম্মাননায় সাংবাদিকদের তীব্র ক্ষোভ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ফরিদপুর জেলা সভাপতি শেখ ফয়েজ আহমেদ এবং মিথ্যা পরিচয়ে জিটিভির স্টাফ রিপোর্টার ও দৈনিক নিরপেক্ষ পত্রিকার চরভদ্রাসন উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে ইমরান হোসাইনের 'সাহসী/আহত সাংবাদিক' সম্মাননা বাগিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ফরিদপুরের সাংবাদিক সমাজে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর ২০২৪ ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় শেখ মুজাহিদুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় শেখ ফয়েজ ৯৭ নম্বর আসামি। এটিই জুলাই আন্দোলনে হামলার ফরিদপুরের একমাত্র মামলা। এমন ব্যক্তিদের সম্মাননা সাংবাদিক সমাজে গভীর অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।
প্রতিবাদে রোববার (১৭ আগস্ট ২০২৫) সকাল ১১টায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে জেলা ও উপজেলার সাংবাদিকরা মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, "শেখ ফয়েজ আন্দোলনবিরোধী অবস্থান নিয়েছিলেন এবং হামলার মামলায় আসামি। ইমরান হোসাইন ভুয়া তথ্য ব্যবহার করে সম্মাননা পেয়েছেন। এটি সাংবাদিকতার মর্যাদায় আঘাত।"
সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন পিয়াল বলেন, "এই সম্মাননা সাংবাদিক সমাজের জন্য লজ্জাজনক এবং পেশার সততার প্রতি হুমকি।" সিনিয়র সাংবাদিক হাসানউজ্জামান ও পান্না বালা বলেন, "ভুয়া তথ্যে সম্মাননা পাওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।" ফরিদপুরের জিটিভি প্রতিনিধি শেখ মনির হোসেন বলেন, "জিটিভিতে ইমরান হোসাইন নামে কোনো স্টাফ রিপোর্টার নেই। তার মিথ্যা পরিচয়ে সম্মাননা নেওয়া অগ্রহণযোগ্য। আমরা সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।"
সাংবাদিকরা এই ঘটনাকে পেশার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা আখ্যায়িত করে সম্মাননা প্রত্যাহার, সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবি জানান। এ ঘটনা ফরিদপুরের সাংবাদিক মহলে তীব্র তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। তারা এই সম্মাননাকে পেশার মান-মর্যাদা ও সততার প্রতি হুমকি হিসেবে দেখছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।
Comments