ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনশৃঙ্খলা সভায় ছিনতাই-চাঁদাবাজি না থাকায় অবাক হলেন জেলা প্রশাসক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুলাই মাসে ছিনতাই,চাঁদাবাজির ঘটনা একটিও ঘটেনি। রবিবার জেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় উপস্থাপিত হয় জেলা পুলিশের এই প্রতিবেদন। জেলায় এসব অপরাধ সংগঠিত না হওয়ার বিষয়টি বিস্ময়ের সৃষ্টি করে। এছাড়া সভায় চোরাচালান বিরোধী অভিযানে আসামী ধরা না পড়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মিলনায়তনে হওয়া সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম। সভা সুত্র জানায়, সভায় উপস্থাপিত বিগত মাসের অপরাধ বিবরণীতে ছিনতাই,চাঁদাবাজির ঘটনা নেই দেখে জেলা প্রশাসক নিজেই অবাক হন।
জেলা প্রশাসক বলেন,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মতো জেলায় একটা চাঁদাবাজি হয়নি,ছিনতাই হয়নি? এ বিষয়ে বক্তৃতায় জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট কামরুজ্জামান মামুন বলেন, ছিনতাই-ডাকাতির মামলা থানা কর্তৃপক্ষ কোন ভাবেই নিতে চাননা। থানায় গিয়ে আপনি জান লুটাইয়া ফেলবেন,চাঁদাবাজি-ডাকাতির মামলা নেবেনা। তিনি আরো বলেন,একটা জিনিস বুঝিনা,মাথায় ডুকেনা পেপারসে রিপোর্ট ভালো দেখাইয়া লাভ কি? যদি আমি বাস্তবে ভালো না থাকি।
এ বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপারের প্রতিনিধিত্বকারী নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক বলেন,চাঁদাবাজি-ছিনতাই শূন্য লেখা। এখানে মামলা হয়েছে,তারপর তথ্য এসেছে। তিনি এসব ঘটনায় থানা পুলিশ মামলা নেয়নি সুনির্দিষ্ট এমন অনিয়মের অভিযোগ লিখিতভাবে পুলিশ সুপার বরবার জানাতে বলেন। পুলিশ কর্মকর্তার এ বক্তব্যের পর এডভোকেট মামুন আবারো বলেন,আপনি যেভাবে বললেন,অভিযোগ শুড বি স্পেসিফিক। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বহু মানুষ জেল খেটেছে।
পাবলিক প্রসিকিউটর ফখরুদ্দিন খান বলেন,থানায় একটা এফআইআর করতে কি যে অবস্থা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন বলেন,জেলা সদর থেকে প্রতিদিন ১৩/১৪ টি দৈনিক পত্রিকা বের হয়। এসব পত্রিকায় জেলার অপরাধের খুটিনাটি সংবাদও প্রকাশিত হচ্ছে। সেসব দেখে জেলার আইনশৃঙ্খলার ভালো-মন্দ নির্নয় করা উচিত। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াত ইসলামীর আমীর মোবারক হোসাইন। সভা সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এহসান মুরাদ।
Comments