খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিচ্ছেন সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা
দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্ক-এর কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন।
জানাজা আজ দুপুর ২টার দিকে জোহরের নামাজের পর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে।
গত মঙ্গলবার রাতে (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে, মরদেহ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ-এর পশ্চিম প্রান্তে রাখা হবে, আর জানাজা জাতীয় সংসদের অভ্যন্তরীণ ময়দান, তার বাইরের প্রাঙ্গণ এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ-এর সম্পূর্ণ অংশ জুড়ে অনুষ্ঠিত হবে।
শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও পর্যটন মন্ত্রী এইচ এম বিজিথা হেরাথ তার দেশের প্রতিনিধি হিসেবে রাষ্ট্রীয় শোকসভায় উপস্থিত থাকবেন। তার আজ ঢাকায় প্রায় দুপুর ১টার দিকে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করবেন দেশটির জাতীয় সংসদের স্পিকার সর্দার আয়াজ সাদিক। তিনি আজ দুপুর ১২টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য ঢাকায় পৌঁছেছেন।
মালদ্বীপ থেকে ড. আলি হায়দার আহমেদ, উচ্চ শিক্ষা, শ্রম ও দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রী এবং মালদ্বীপ প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত, জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য ঢাকায় আসবেন।
ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডি এন ধুংয়েলও বিএনপি চেয়ারপারসনের রাষ্ট্রীয় জানাজায় তার দেশের প্রতিনিধিদল নেতৃত্ব দেবেন।
এদিকে, নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দা শর্মা তার সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য গত রাতে ঢাকায় পৌঁছেছেন। তাকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেপালের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব এম ফরহাদুল ইসলাম স্বাগত জানান।
কর্মকর্তাদের মতে, নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় দুপুর ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অংশ নেবেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিশ্বব্যাপী শোকবার্তা অব্যাহত রয়েছে।
ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।
এর আগে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেগম জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি তার রাজনৈতিক দায়িত্ব ও দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়নে তার অবদান স্মরণ করেন।
জাতীয় ও আঞ্চলিক রাজনীতিতে তার ভূমিকা স্মরণ করে মোদি বলেন, 'বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান চিরস্মরণীয় থাকবে।'
Comments