পাকিস্তানে গিয়ে জিহাদের বিরোধিতাকারী বাংলাদেশি আলেমদের সতর্ক করে টিটিপি’র ভিডিও বার্তা
সম্প্রতি কয়েকজন বাংলাদেশি আলেম কর্তৃক পাকিস্তানি ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-কে খারেজি সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে সংগঠনটির কার্যক্রমের সাথে যুক্ত না হতে বাংলাদেশিদেরকে পরামর্শ দেয়ার পর টিটিপির পক্ষ থেকে ভিডিও বার্তা দিয়ে ওই আলেমদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। জঙ্গি সংগঠনটির অনলাইন এক্টিভিস্টদের কেউ কেউ তাদেরকে হুমকিও দিয়েছেন।
গত ১ ডিসেম্বর টিটিপির হয়ে পাকিস্তানে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইরত বাংলাদেশি সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে ভিডিওটি।
বিগত মাস খানেক সময় ধরে টিটিপির বিরোধিতাকারী বাংলাদেশি আলেমদের বিরুদ্ধে অনলাইনে সমালোচনায় সরব হতে দেখা গেছে বাংলাদেশি টিটিপি সদস্যদেরকে।
এর সূত্রপাত হয় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব মুফতি হারুন ইজহার বাংলাদেশি যুবকদের টিটিপিতে যোগ দেয়ার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করে বক্তব্য দেয়ার পর। ইজহার তার বক্তব্যে টিটিপিতে যোগ দেয়ার বদলে আরাকানে জিহাদের ব্যাপারে জোরারোপ করেন। ২৭ অক্টোবর ইউটিউবে আপলোড করা হারুন ইজহারের বক্তব্যের একটি ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, "টিটিপির বিষয়ে শরয়ী বিধান কী সেটা পরে, তবে কৌশলগত কারণে আমি কখনো বলবোনা বাংলাদেশি কোন তরুণ ওখানে (পাকিস্তানে) গিয়ে যুদ্ধে যুক্ত হোক। কারণ আমরা নিজেরাই ক্রাইসিসের মধ্যে আছি এখানে। যেখানে ভারত আমাদের শত্রু চতুর্দিক থেকে, তো আপনি একইসাথে ভারতের সাথে রাজনৈতিক সংগ্রামে লিপ্ত আছেন, আবার পাকিস্তানকেও শত্রু বানাচ্ছেন, মায়ানমারও আপনাদের শত্রু।"
তিনি আরও বলেন, "আপনি একইসাথে এত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। যারা এগুলা ফেসবুকে লিখে, উস্কানি মারে এটা দাওয়াতের যে কৌশল সেটাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এজন্য টিটিটির যুদ্ধের ব্যাপারে আমি আপনাদের সবাইকে নিরুৎসাহিত করতে চাই যারা অন্তত বাংলাদেশে আছে। যারা ওখানে আছে এটা তাদের বিষয়। এই লড়াইটা আমরা ছোটকাল থেকে দেখে আসছি।"
আরাকান জিহাদের ব্যাপারে জোরারোপ করে তিনি বলেন,"ফিকাহ'র কিতাবে আছে নিকটবর্তী শত্রুকে আগে ধরতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ সরকারের উপর ফরজে আইন হচ্ছে, এই মুনাফিক সরকারের উপর ফরজ হচ্ছে মায়ানমারের মোসলমানদের সাহায্য করা।"
হারুন ইজহারের এই বক্তব্যের পরই তার বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয় পাকিস্তানে থাকা বাংলাদেশি টিটিপি সদস্যরা।
হারুন ইজহারের নাম উল্লেখ না করেই তাকে উদ্দেশ্য করে টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করা বাংলাদেশি তরুণ ইমরান হায়দার ১ নভেম্বর ফেসবুকে লিখেন, "হযরত হিন্দুত্ববাদী বিরোধী বয়াণ কি আপনার রাজনৈতিক টুলস? না এমনি বললাম আরকি। এতো হাজার হাজার কর্মী আপনার কাউকে তো দেখলাম না কাশ্মীর জিহাদে, কাউকে তো দেখলাম না ভারতে, কাউকে তো দেখলাম না ইস্কনের উপর হামলা করতে, কাউকে তো দেখলাম না মুসলিম বোনদের ধর্ষণকারীকে কতল করতে, কাউকে তো দেখলাম না শাতিমে রাসুল হত্যা করে ফরজ কাজ আদায় করতে। হযরত আপনার প্রতি পূর্ণ সন্মানের সাথে বলছি,পাকিস্তান মৌলভিদের পলিসি বাংলাদেশে খাটাইতে যাইয়েন না আমরা কিন্তু ধরে ফেলবো।…"
তিনি আরও লিখেছেন, "ছোট মানুষ ভুল হলে ক্ষমা চাই। আমাদের গাইরতে কুলায় নাই তাই দেশ থেকে ভাগছি। আমরা কমজোড়। বাংলাদেশের জুলুম দেখে এসি রুমে কনফারেন্স করার মতো হিম্মত আমরা করতে পারি নাই। কমজোড়ী ও নিজের অক্ষমতার জন্য হিজরত করছি। আমাদের ঈমান হারানোর ভয় আছে তাই ভাগছি আর দুর্বল ঈমানদারদের ভাগার পরামর্শ দিচ্ছি। শক্তিশালী ঈমানওয়ালা তো বাংলাদেশে বহুত আছে। আমাদের মতো দুই একটা কমজোড় বাংলাদেশে না থাকলে কোন ক্ষতি নাই।"
এরপর গত এক মাস ধরে ইমরান হায়দার একাধিকবার হারুন ইজহারের নাম উল্লেখ করেই তার সমালোচনা করেছেন। পাশাপাশি টিটিপি সমর্থক অন্যান্য আইডি থেকেও সমালোচনামূলক পোস্ট আসতে থাকে। কাতারে ৪-৬ নভেম্বর জাতিসংঘের দ্বিতীয় বিশ্ব সামাজিক উন্নয়ন শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন মুফতি হারুন ইজহার। মুফতি ইজহারের জাতিসংঘের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ নিয়ে সমালোচনা মুখর হন টিটিপি সদস্যরা।
এছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইবুনালের রায় ঘিরে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের সামনে সাইফুল ইসলাম নামের এক তরুণের সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল মন্তব্য ও পরবর্তীতে তাকে সেনা সদস্যদের মারধর নিয়ে হারুন ইজহার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। পোস্টে হারুন ইজহার উল্লেখ করেন, ওই ঘটনার পিছনে আর্মির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ছিল না সে পোস্টেরও তীব্র সমালোচনা করেন টিটিপি সদস্যরা। তাদের মতে এই ধরণের পোস্ট প্রশাসনের জন্য সুবিধা তৈরি করে। হারুন ইজহার এজেন্সির ফাঁদে পড়েছেন দাবি করা হয় টিটিপি সমর্থক বিভিন্ন আইডি থেকে।
এর মধ্যে গত ৩০ নভেম্বর আব্দুল কাইয়ুম ফাতেহপুরী নামের একজন আলেম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টিটিপি ও আরসা'কে খারেজি আখ্যা দিয়ে তার ফেসবুক থেকে বিদায় নিতে বলেন। তিনি দাবি করেন, খারেজিরা মুসলমানদের তাকফির (কাফের আখ্যা দেয়া) করে হত্যাযোগ্য করে তুলছে।
উক্ত পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে পাকিস্তানে অবস্থানরত বাংলাদেশি টিটিপি সদস্যরা ফেসবুকে সমালোচনা করেন টিটিপির বাংলাদেশি কর্মী ও সমর্থকরা।
টিটিপি সদস্য ইমরান হায়দার হুমকি দিয়ে আব্দুল কাইয়ুমের উদ্দেশ্যে লিখেন, "আপনাকে এর আগেও আমি সতর্ক করছি। আমার সতর্কতাগুলা আপনি গ্রাহ্য করেন নাই। দেন এখন আপনার ব্যখ্যা, অন্যথায় আরো বড় জায়গায় হাত দিতে বাধ্য হবো আমি। যেখান থেকে আপনাদের এই দুঃসাহসগুলা আসে।"
পরবর্তীতে আব্দুল কাইয়ুম তার পোস্টটি ডিলেট করে দেন। আব্দুল কাইয়ুম মুফতি হারুন ইজহারের অনুসারী।
টিটিপির বিরোধিতা করে তার দেয়া পোস্টের স্ক্রিনশট পোস্ট করে টিটিপি সমর্থক আরেকটি আইডি থেকে দাবি করা হয়, মুফতি হারুন ইজহার 'এজেন্সির ট্রাপে পড়েছেন'।
পোস্টটিতে বলা হয়েছে, "শাইখ Harun Izhar হাফিজাহুল্লাহ যে এজেন্সির ট্র্যাপ এ পড়েছে সেটা তো অনেকের কাছেই স্পষ্ট ছিল। কিন্তু এতটুকু ভরসা ছিল যে, ওরাও যেমন শাইখকে ইউস করবে আবার শাইখও ওদের ইউস করবে। কিন্তু কিছু দিন আগে শাইখ এর টিটিপি এবং পাকিস্থান জিহাদ নিয়ে বক্তব্য এবং শাইখ এর দাওয়াহ কার্যক্রম এর গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বশীল ও প্রশিক্ষক Abdul Kayum Fatehpuri এর এই ধরনের বক্তব্যগুলো খুবই এলারমিং। কিছু আগে ইন্তিফাদা বাংলাদেশ ও Council Against Injustice - CAI শাইখদের দাওয়াহ কার্যক্রম এজেন্সির নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার কারণে সকল কার্যক্রম আলাদা করে ফেলেছিল। কিন্তু তাও আমরা বিভিন্ন জায়গায় দ্বীনদার যুবক পেলে শাইখ এর কাজের সাথে জড়িত থাকতে বলতাম। যেহেতু সবাইকে আমাদের কাজের জন্য আম যোগ্য মনে হয় না (আমরা যাচাই বাছাই করে লোক নেই)। কিন্তু আজ থেকে আর কাউকে সাজেস্ট করতে ইচ্ছা তো করছেই না, উল্টো বলতে মন চাচ্ছে- এই খানে গেলে খুব সাবধান থাকতে হবে সবার সব কথা নেওয়া যাবে না। একান্ত ব্যক্তিগতভাবেই বিষয়টা ভাবতেছি এখনও।"
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ ডিসেম্বর পাকিস্তানে অবস্থানরত বাংলাদেশি টিটিপি সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও বার্তা পোস্ট করেন। ভিডিওতে ৩ জন টিটিপি সদস্যকে মুখ ঢাকা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এরমধ্যে একজন বাংলায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন এবং তার দু'পাশে ছিলেন দু'জন অস্ত্রধারী।
সাড়ে ৩ মিনিটের ভিডিওটিতে বাংলাদেশের যেসব আলেম 'টিটিপি ও আরসাকে খারেজি প্রভাবিত' বলে সংগঠন দু'টির বিরোধিতা করেন তাদেরকে সতর্ক করে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। এতে টিটিপি ও আরসার পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান নিতে আহ্বান জানানো হয়, পক্ষে কথা না বলতে পারলে চুপ থাকতে বলা হয়।
ভিডিওটিতে টিটিপি সদস্য বলেন, "আপনারা চাইলে হেকমতের দোহাই দিয়ে চুপ থাকতে পারেন, অসুবিধা নাই। কিন্তু আপনারা যখন হক্বপন্থী মুজাহিদদের বিরোধিতা করছেন তখন আমরা আর চুপ থাকতে পারিনাই। আমরা বারবার অফলাইন, অনলাইন দুইভাবে চেষ্টা করছি আপনারা যেন জিহাদের ব্যাপারে স্পষ্ট কথা বলেন আর নাহয় চুপ থাকেন। কিন্তু আপনরা বারবার তেহরিক-ই-তালিবানকে খারেজী প্রভাবিত বলছেন এবং আরসাকেও খারেজী দ্বারা প্রভাবিত বলছেন। আপনারা যখন তেহরিক-ই-তালিবানের বিরুদ্ধে কথা বলবেন তখন আমরা সবর করবো, কিন্তু যখন আমাদের সবর শেষ হয়ে যাবে তখন ইনশাআল্লাহ আমরা এর ব্যাপারে কথা বলবো।"
যোগাযোগ করলে টিটিপির সমালোচক মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম ফতেহপুরী বলেন, "আমরা মনে করি গণতন্ত্র দিয়ে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না। তাহলে গণতন্ত্র না হলে কি সাথে সাথে জিহাদ? ব্যাপারটা কিন্তু এমন না। আমরা বাংলাদেশের ভূগোলিক অবস্থান, মানুষের মনস্তত্ব, সামাজিক বাস্তবতা চিন্তা করে আমরা যেটা প্রচার করার চেষ্টা করি সেটা হলো বাংলাদেশে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে হলে শিক্ষিত মিডল ক্লাসকে, স্কুল-কলেজে ব্যাপকভাবে দাওয়াত দিতে হবে। দ্বীনটাকে আগে মানুষকে বুঝাতে হবে। জিহাদ একটা সামগ্রিক বিষয়। জিহাদ কোন গোপনে গোপনে করার মত কোন বিষয় না।"
টিটিপির ব্যাপারে ভিন্ন অবস্থানের ব্যাপারে তিনি বলেন, "এ জায়গায় তাদের সাথে আমাদের কনফ্লিক্টের বিষয়টা হলো আমরা অবশ্যই সারা বিশ্বে মুসলিম উম্মাহকে রক্ষা করার জন্য যতগুলো প্রতিরোধী আন্দোলন আছে তাদের আমরা সম্মান করি। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে কেউ পাকিস্তানে যাবে টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে। আমরা এটাকে বাস্তবতা বিবর্জিত, স্থুল ও ভুল চিন্তা মনে করি। আমরা যখন দাওয়াতের কাজ করতে যাই তখন টিটিপির সমর্থকরা আমাদের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তারা বলে আমরা জিহাদের কথা বলিনা, আমরা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে বললেও আমরা এই মুহুর্তে জিহাদের কথা বলছিনা। বা কেউ হিজরত করুক সেটা আমরা চাইনা।"
"হিজরত একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এটা মূলধারার আলেমরা যখন সিদ্ধান্ত দিবে, জিহাদের প্রয়োজন যখন হবে, চুক্তির প্রয়োজন যখন হবে, হিজরতের প্রয়োজন যখন হবে, থামার প্রয়োজন কখন হবে এটা ওলামাদের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল। এখানেই তাদের সাথে আমাদের কনফ্লিক্ট। তারা মনে করে গোপনে গোপনে গিয়েও জিহাদ করা যায়। আমরা বলি যে না এটা উলুল আমর ওলামা কেরামের অধীনে হবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক বাস্তবতাকে সামনে রেখে" যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশের টিটিপির কার্যক্রমের সাথে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সংযোগ থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, "আমরা তাদের দুইভাবে দেখি। এক হলো তারা আনাড়ি, খুব স্থুল ভাবে চিন্তা করে। দ্বীনের গভীর জ্ঞান তাদের মধ্যে নাই। এটা একটা সম্ভাবনা। আরেকটা সম্ভাবনা হলো তারা র' কিংবা বিদেশি কোন এজেন্সির ক্রীড়নক হয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য কাজ করছে। এবং ভারতীয় যে বয়ান, বাংলাদেশে যারা জঙ্গিবাদী ন্যারেটিভ স্টাবলিশ করার চেষ্টা করতেছে এটাকে আমি তাদের সহায়ক বলে মনে করি। আমরা এটাকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য থ্রেট মনে করি। আমারা তো মিলিট্যান্সি না, আমরা তো গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে বলে কোন কনফ্লিক্টে যাচ্ছি না। ৫ই আগস্টের পরও যারা জঙ্গিবাদী ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে এ ঘটনাগুলোকে আমরা তাদের সহায়ক বলে মনে করি।"
টিটিপি'র সমর্থকদের জন্য নিজেদের দাওয়াতী কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হয়ে জানিয়ে বলেন, "তাদেরকে কোরআন-হাদিসের ভিত্তিতে বাস্তব সম্মত উত্তর পাওয়ার পরও তারা এটা নিয়ে সন্তুষ্ট হয় না। তারা প্রশ্নটা করে তাদের মত স্টাবলিশ করার জন্য এবং আমাকে সেটা মেনে নিতে হবে। বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে তাদের যে প্রভাব সেটাকে আমি আশংকাজনক মনে করিনা, তবে যতটুকু আছে সেটুকুকে আমাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে।"
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে তরুণরা পাকিস্তানে গিয়ে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত অবস্থায় মারা যাচ্ছেন এমন খবর চলতি বছরের মে মাসে প্রথম প্রকাশিত হয়। এখন পর্যন্ত মোট পাঁচজন বাংলাদেশি নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এসব যোদ্ধাদের অনেকে ২০২২ সালের পর থেকে ভারত এবং দুবাই হয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছেন।
( দ্যা ডিসেন্ট এর সৌজন্যে)
Comments