চারদিনের ব্যবধানে বঙ্গোপসাগরে আবারো ভূমিকম্প
মাত্র চারদিনের ব্যবধানে আবারো বঙ্গোপসাগরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) ভারতের স্থানীয় সময় দুপুর দুইটা ৩২ মিনিট ০৪ সেকেন্ডে এ ভূকম্পন অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি)।
ভারতের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজিও ভূমিকম্পের তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা বলছে এ ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিলো ভারতের ত্রিপুরার বেলোনিয়া শহর থেকে ৩৩৪ কিলোমিটার দক্ষিণে, মিজোরামের থেনজল শহর থেকে ৩৬৯ কিলোমিটার দক্ষিণ–দক্ষিণ-পশ্চিমে, মিজোরামের সেরছিপ শহর থেকে ৩৭৮ কিলোমিটার দক্ষিণ–দক্ষিণ-পশ্চিমে ও
অন্যদিকে ইএমএসসি জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৪ দশমিক ২। এর গভীরতা ছিলো মাত্র ৫৭ কিলোমিটার। উৎপত্তিস্থল ছিলো ভারতের নবরংগপুর শহর থেকে ২৮৮ কিলোমিটার দক্ষিণ–দক্ষিণ–পূর্বে এবং ভারতের বিশাখাপত্তনম শহর থেকে ১০২ কিলোমিটার দক্ষিণ–পূর্বে। এর আগে গত শনিবার (২৭ নভেম্বর) বঙ্গোপসাগরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিলো। ঘটনার দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে রাত ৩টা ২৯ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডে বঙ্গোপসাগর এলাকায় আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৪.০। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিলো মাত্র ১০ কিলোমিটার। আর কেন্দ্র থেকে টেকনাফের দূরত্ব ছিল ১২৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।
গত ২১ নভেম্বর বাংলাদেশে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওইদিন সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের দিকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ভূ-কম্পন অনুভূত হয়। এর কেন্দ্রস্থল ছিলো নরসিংদীর মাধবদী।
২১ নভেম্বরের মাঝারি মানের ওই ভূমিকম্পে সারাদেশে ১০ জনের প্রাণহানির তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও ভূমিকম্পের সময় ভবন থেকে মাথায় ইট খসে পড়ে ও আতঙ্কে ভবন থেকে লাফিয়ে সারাদেশে অন্তত ৪ শতাধিক মানুষ আহত হন।
পরবর্তীতে এখনও পর্যন্ত কয়েক দফায় বাংলাদেশে আরো অন্তত ৬ বার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।
Comments