‘গণভোটে চারটির কোনো একটি প্রশ্নে দ্বিমত থাকলে ‘না’ বলার সুযোগ কই’, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে অংশ নিতে ইচ্ছুক সাধারণ মানুষের মতামত জানানোর সুযোগ কোথায়—এই প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তিনি বলেন, গণভোটের চারটি প্রশ্নের কোনো একটির সঙ্গে দ্বিমত থাকলে 'না' বলার সুযোগই নেই। এতে নাগরিকদের প্রকৃত মতামত জানানোর পথ রুদ্ধ হচ্ছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন। রিজভী বলেন, 'গণভোটে যে চারটা প্রশ্ন রাখা হয়েছে, সেখানে অসম্মতির সুযোগ নেই। মানুষ যদি একমত না হয়, সেই মতামত কীভাবে দেবে—সেটা গণভোটে উল্লেখ নেই।' তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষ যাতে সহজে বুঝতে পারে, সেইভাবে প্রশ্নগুলো সাজানো উচিত ছিল।
রিজভী অভিযোগ করেন, সারাদেশে মানুষ নানা দুর্ভোগে থাকলেও তা লাঘবে রাষ্ট্রের কোনো কার্যকর ভূমিকা নেই। স্বাধীনতার পর থেকেই জনসেবামূলক কাজে রাষ্ট্রের নজর কম ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তার মতে, গণভোট বা পিআর-ব্যবস্থা নিয়ে ব্যস্ত না থেকে জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করাই এখন জরুরি।
বিএনপির সমর্থিত জুলাই সনদ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সনদটি জাতির সামনে যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। আরও স্পষ্ট করে তুলে ধরা প্রয়োজন ছিল।
ভারত থেকে বিপুল অর্থ এনে দেশে নাশকতার চেষ্টা হচ্ছে—এমন অভিযোগও তুলে ধরেন তিনি। রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। শেখ হাসিনার বিচার আদালতের বিষয়, মানুষ শুধু ন্যায়বিচারই চায়।
তিনি আরও বলেন, দেশের পরিস্থিতি ইচ্ছাকৃতভাবে ঘোলাটে করে তোলা হচ্ছে। 'পতিত স্বৈরাচার' প্রতিবেশী দেশে বসে নানা ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। ঢাকা, গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে গাড়ি পোড়ানো ও সহিংসতার ঘটনাকে আওয়ামী লীগের 'পুরোনো সংস্কৃতি' হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার শুরু থেকেই ফ্যাসিবাদের বিষদাঁত ভেঙে ফেলতে পারলে এসব ঘটনা ঘটত না।
অনুষ্ঠানে আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Comments