পাকিস্তান থেকে পাখি খাদ্যের আড়ালে আসলো ২৫ টন পপি বীজ
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসা দুটি কনটেইনারে ২৫ টন আমদানি নিষিদ্ধ পপি বীজ জব্দ করেছে কাস্টম হাউস। গত ৯ অক্টোবর পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে চালানটি। এরপর সেটি নেয়া হয় ছাবের আহমেদ টিম্বার কোম্পানি লিমিটেড নামের অফডকে। বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর) চট্টগ্রাম কাস্টমস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রামের কোরবানিগঞ্জ এলাকার প্রতিষ্ঠান মেসার্স আদিব ট্রেডিং পাকিস্তান থেকে 'বার্ড ফুড' বা পাখির খাবার ঘোষণায় এ চালান আমদানি করে। নথি অনুযায়ী, মোট ৩২ টন পাখির খাদ্য আসার কথা ছিল। গত ৯ অক্টোবর কনটেইনার দুটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় এবং খালাসের জন্য ছাবের আহম্মেদ টিম্বার কোম্পানি লিমিটেড ডিপোতে নেয়া হয়।
এরই মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস কর্মকর্তারা চালানটির খালাস স্থগিত করে। পরে ২২ অক্টোবর দুই কনটেইনার খোলা হলে সামনে পাওয়া যায় পাখির খাদ্য, আর পেছনের অংশে লুকিয়ে রাখা ছিল ২৫ টন পপি বীজ।
উদ্ধার করা নমুনা তিনটি পরীক্ষাগারে চট্টগ্রাম বন্দরস্থ উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ দপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানোপ্রযুক্তি সেন্টার এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এর মধ্যে উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তর ও খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবেদনে পপি বীজের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপকমিশনার এইচ এম কবির বলেন, পপি বীজ যদি অঙ্কুরোদ্গম উপযোগী হয়, তাহলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুসারে এটি 'ক' শ্রেণির মাদক হিসেবে গণ্য হয়। তাছাড়া, আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ অনুযায়ী পপি বীজ সম্পূর্ণভাবে আমদানি নিষিদ্ধ।
কাস্টমস সূত্র জানায়, চালানে থাকা পণ্যের ঘোষণাপত্রে মূল্য দেখানো হয়েছিল ৩০ লাখ ২ হাজার ৪৮২ টাকা। কিন্তু জব্দকৃত পপি বীজের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
Comments