আমাদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা : আসিফ মাহমুদ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, 'ডিবি হেফাজতে থাকাকালীন আন্দোলন বন্ধের ঘোষণা না দিলে আমাদের হত্যার নির্দেশ ছিল। শেখ হাসিনা সরাসরি এ নির্দেশ দিয়েছিলেন।'
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, 'চানখাঁরপুলে চায়নিজ রাইফেল, শটগান ও ছররা গুলি দিয়ে ছয়জন আন্দোলনকারীকে হত্যা করে পুলিশ ও এপিবিএনের সদস্যরা।'
তিনি বলেন, 'চানখাঁরপুলে আমার সামনেই দুজন পুলিশের গুলিতে শহিদ হন।'
জুলাই হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতাদের ও গুলি করা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের দায়ী করেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, 'ডিবি হেফাজতে থাকাকালে আন্দোলন বন্ধের ঘোষণা না দিলে আমাদের হত্যার নির্দেশ ছিল। শেখ হাসিনা সরাসরি এ নির্দেশ দিয়েছিলেন।
৩২ ঘণ্টা অনশনে থাকার পর সমন্বয়কদের ডিবি অফিস থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।'
আগামী ১৬ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বাকি সাক্ষ্য দেবেন আসিফ মাহমুদ।
এ মামলায় গত ১৪ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আট আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল, শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম।
এ আটজনের মধ্যে প্রথম চারজন পলাতক। বাকি চারজন গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
Comments