বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ওয়ানডে আজ সন্ধ্যায়

আবুধাবির মরুভূমির গরম হাওয়ায় আবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দুই চেনা প্রতিদ্বন্দ্বী—বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। আজ সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি, আর তার আগে দুই শিবিরেই উত্তেজনা তুঙ্গে। এটা শুধু আরেকটি সিরিজ নয়, বরং সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
৫০ ওভারের এই সংস্করণে এখন পর্যন্ত ১৯ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল—বাংলাদেশ জিতেছে ১১ বার, আফগানিস্তান ৮ বার। শেষ পাঁচ দেখায় ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ, কিন্তু ব্যবধান এতটাই কম যে, একটি জয়ই পুরো সমীকরণ পালটে দিতে পারে। শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে দাপুটে জয় পাওয়ার পর এবার ওয়ানডেতে নামছে বাংলাদেশ। কিন্তু আনন্দের পাশাপাশি আছে এক ধরনের চ্যালেঞ্জ। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে দল এখন ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে, বিশেষ করে ২০২৭ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি মাথায় রেখেই সাজানো হয়েছে এই স্কোয়াড।
পরিসংখ্যান ও ফর্মের বাইরে, এই সিরিজের মূল গল্প হতে পারে মনস্তাত্ত্বিক। বাংলাদেশ মুখিয়ে সাম্প্রতিক সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে, আর আফগানিস্তান চাইছে ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে নতুন করে শুরু করতে। দুই দলই জানে—প্রথম ম্যাচের জয় সিরিজের গতিপথ নির্ধারণ করে দিতে পারে।
এই লড়াই শুধু রান আর উইকেটের নয়, বরং গর্ব ও প্রতিশোধেরও। আফগানিস্তান চায় বাংলাদেশকে হারিয়ে নিজেদের মর্যাদা ফেরাতে, আর বাংলাদেশ চায় সাম্প্রতিক সাফল্যকে আরও বড় প্রমাণে রূপ দিতে। মরুভূমির গরমে তাই উঠবে নতুন আগুন—দীর্ঘ বিরতির পর, পুরোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতার নতুন অধ্যায় লিখতে। আফগানদের হৃদয়ে ২০ ওভারে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা এখনো জ্যান্ত। তারই পিঠে টাইগাররা চাচ্ছেন নতুন আরেকটি সিরিজ জিততে।
টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সুযোগ হয়নি ওয়ানডে নেতা মিরাজের। আপাতত দীর্ঘ ফরম্যাটের জন্যই মিরাজের ওপরে ভরসা রেখেছে বিসিবি। সেই আস্থার কতটুকু প্রতিদান মিরাজ দিতে পারেন, তারও পরীক্ষা হবে এই সিরিজে। বিস্তারিত খেলার পাতায়।
Comments