তীরে এসে তরী ডুবলো বাংলাদেশের

আরও একটি এশিয়া কাপ টুর্নামেন্ট এবং আরও একবার হতাশায় ডুবলো বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকরা। অলিখিত ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সহজ ম্যাচ হাতছাড়া হলো টাইগারদের। সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান, যেখানে ১১ রানের জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান।
ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১৩৬ রান। লক্ষ্যটা খুব বেশি বড় ছিল না, দল জয় তুলে নিবে এমনটাই প্রত্যাশা ছিল বেশিরভাগ সমর্থকদের। এছাড়া শুরুতে দাপুতে বোলিং করে টাইগারদের আত্মবিশ্বাসও ছিল বেশ। তবে শেষ হাসি হাসা হলো না লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।
এদিন টস জিতে শুরুতে পাকিস্তানকে ব্যাট হাতে পাঠিয়ে বেশ দাপটই দেখিয়েছিল টাইগার বোলাররা। বাংলাদেশের বোলারদের তোপের মুখে শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিল পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপ। ব্যাটাররা ছিলেন সাজঘরে যাওয়া আসার মধ্যেই।
একশো পেরোনো নিয়েই যখন ছিল শঙ্কা, তখন নাওয়াজ এবং হারিসের ব্যাটে ভর করে লড়াকু পুঁজি পায় পাকিস্তান। নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৩৫ রান জমা করে তারা।
১৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শূন্য রানে ফেরেন পারভেজ ইমন। তার পথ ধরেন তাওহীদ হৃদয়ও। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে আশা দেখাচ্ছিলেন ভারতের বিপক্ষে ফিফটি করা সাইফ। যদিও এদিন ইনিংস বড়ো করতে পারেননি। হারিস রউফের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সাইম আইয়ুবের হাতে ধরার পড়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে কেবল ১৮ রান।
কার্যত সেমিফাইনালে রূপ নেওয়া এই ম্যাচে একাদশে ফেরানো হয়েছিল উইকেটকিপার ব্যাটার নুরুল হাসান সোহানকে। যদিও শুরু থেকেই খুব একটা আত্মবিশ্বাসী মনে হয়নি তাকে। সাইম আইয়ুবকে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফে নাওয়াজের হাতে ধরা পড়েন।
লিটন দাস ইনজুরির কারণে ম্যাচের বাইরে থাকায় নেতৃত্বে ছিলেন জাকের আলি। অধিনায়ক দলের বিপদ আরও বাড়ান। অদ্ভুত শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ প্র্যাকটিস করালেন যেন পাকিস্তানি ফিল্ডারকে। রান পাননি শেখ মেহেদী-তানজিম সাকিবও।
মাঝের সময়ে শামীম পাটোয়ারী একা লড়াই করলেও সেটি যথেষ্ট ছিল না দলের জন্য। ২৫ বলে ৩০ রান করে বিদায় নিলে টাইগারদের হার কেবল সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। শেষ দিকে কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছেন টাইগার ব্যাটাররা। রিশাদ চেষ্টা করলেও আর পেরে উঠেননি। শেষ পর্যন্ত সবকটি ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১২৪ রান। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট শিকার করেন শাহীন আফ্রিদি এবং হারিস রউফ।
২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় এবারের এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
Comments