নেপালে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন দিলো বিক্ষোভকারীরা

নেপালের ধনগধিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে জেন-জি বিক্ষোভকারীরা। মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কারফিউ উপেক্ষা করে দ্বিতীয় দিনের মতো দেশটিতে চলছে জেনারেশন জেডের বিক্ষোভ। আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিরও পদত্যাগের দাবি করছেন।
কাঠমান্ডুতে বর্তমানে কারফিউ জারি থাকা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকজন নেতার বাড়িতে পাথর ছুঁড়েছে এবং আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে।
নেপালের গণমাধ্যম বলছে, বিক্ষোভকারীরা ললিতপুরে যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুংয়ের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পাউডেল এবং নেপাল রাষ্ট্র ব্যাংকের গভর্নর বিশ্ব পাউডেলের বাসভবনেও পাথর ছুঁড়েছে তারা। এছাড়া সদ্য পদত্যাগকারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকের বাড়িতেও চালানো হয় হামলা।
মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিক্রিয়ায় শুরু হয়েছিল এই বিক্ষোভ। ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে সোমবার রাতে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে নেপাল সরকার। তবে, সোমবার বিক্ষোভে নির্বিচার গুলিতে ১৯ জন নিহত ও শতাধিক আহতের ঘটনার প্রেক্ষিতে ফের বিক্ষোভ শুরু হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ ইস্যু ছাড়াও রাজনীতিবিদদের সন্তানদের বিলাসবহুল জীবনযাত্রা এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরে মাঠে নামেন আন্দোলনকারীরা।
বিবিসির খবরে আরও বলা হয়, শহরের কিছু অংশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি থাকা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাসহ দেশটির শীর্ষ নেতাদের বাড়িতে আক্রমণ করেছে।
গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির নেতৃত্বাধীন সরকার নতুন নিয়মনীতি না মানার অভিযোগে ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন, হোয়াটসঅ্যাপ, এক্সসহ ২৬টি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেয়। তবে নিয়ম মেনে চলায় টিকটকসহ পাঁচটি অ্যাপ এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে ছিল।
Comments