এবার ২২ ব্যাংক থেকে আরও ৩১৩ মিলিয়ন ডলার কিনলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ২২টি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে আরও ৩১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে। চলমান দরপতনের প্রেক্ষাপটে আন্তব্যাংক লেনদেনে আয়োজিত নিলামের মাধ্যমে এ ডলার কেনা হয়। এতে প্রতি ডলারের কাট-অফ রেট নির্ধারিত হয় ১২১ টাকা ৫০ পয়সা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, হঠাৎ ডলারের বিপরীতে টাকার মান বেড়ে যাওয়ায় মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা ঠেকাতে এবং রফতানিকারক ও প্রবাসী আয়কারীদের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংক হস্তক্ষেপ করছে।
এর আগে ১৩ জুলাই ১৮টি ব্যাংক থেকে ১৭১ মিলিয়ন ডলার কিনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা ছিল ভাসমান বিনিময় হার চালু হওয়ার পর প্রথম নিলামভিত্তিক ক্রয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, আমরা চাচ্ছি বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে। হঠাৎ করে মূল্য বৃদ্ধি বা পতন—উভয়ই অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ডলারের দর খুব বেশি কমে গেলে রফতানিকারক ও প্রবাসীরা নিরুৎসাহিত হন।
তবে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এ নীতির সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে যখন দেশে মূল্যস্ফীতি এখনও উচ্চ, তখন ডলারের দর আর কমতে দেওয়া হলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বড় অবদান রাখতো।
তিনি আরও বলেন, ১২১ থেকে ১১০ টাকায় নামিয়ে আনা গেলে মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা অনেক সহজ হতো। তাহলে প্রশ্ন ওঠে—এই সুযোগটা কেন হাতছাড়া করা হলো?
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ১০ জুলাই পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম৬ পদ্ধতির হিসাব অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলারে, যা এক বছর আগে ছিল ২১ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার।
মঙ্গলবার তথা আজকের হস্তক্ষেপের পর আন্তব্যাংক বিনিময় হার (বিক্রয়) দাঁড়ায় প্রতি ডলারে ১২১ দশমিক ৫০ টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় ১ টাকা ৪০ পয়সা বেশি। গত এক সপ্তাহে মার্কিন ডলারের দর ধারাবাহিকভাবে পতনশীল ছিল।
প্রসঙ্গত, ১ আগস্ট থেকে রফতানিকারকরা প্রতি ডলারে ১০৮ দশমিক ৫০ টাকা পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
Comments