ইয়ামালকে খোঁচা বেলিংহ্যামের পোস্টে, ক্ষুব্ধ বার্সেলোনার মিডফিল্ডার
গতকাল (রোববার) বার্সেলোনাকে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ নাটকীয় ও ঘটনাবহুল এল ক্লাসিকোতে। ২-১ ব্যবধানে ওই জয়ের পর যেন পুরো স্বাগতিক শিবিরের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন বার্সার স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড লামিনে ইয়ামাল। মাঠে তার সঙ্গে কারভাহালদের উত্তপ্ত বাদানুবাদ তো হয়েছে–ই, ডাগআউটে ফেরার সময়ও তিনি ভিনিসিয়ুসদের তোপের মুখে পড়লেন। এখানেই শেষ নয়, পরে ইয়ামালকে খোঁচা দিয়ে পোস্ট করেছেন জুড বেলিংহ্যাম।
রিয়াল মাদ্রিদ আগের মৌসুমে চার এল ক্লাসিকোতে হেরে আগে থেকেই প্রতিশোধের আগুনে পুড়ছিল। তাতে ঘি ঢেলে দেয় এবারের দ্বৈরথের আগমুহূর্তে ইয়ামালের করা মন্তব্য। এক অনুষ্ঠানে ১৮ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ তারকা বলেন, 'তারা (রিয়াল) সব সময়ই চুরি ও অভিযোগ দিতে অভ্যস্ত।' এ ছাড়া গত মৌসুমের মতো এবারও লস ব্লাঙ্কোসরা পাত্তা পাবে না বলে তাতিয়ে দেওয়া মন্তব্য করেন ইয়ামাল। যা সহজভাবে নেয়নি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা। স্পেন জাতীয় দলের সতীর্থ হলেও, মাঠেই তার জবাবটা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন রিয়াল ডিফেন্ডার দানি কারভাহাল।
এল ক্লাসিকো চলাকালে পুরো সময় উত্তেজনা তো ছিল–ই, তবে সেটি বিশেষ মাত্রা পায় যোগ করা সময়ের দশম মিনিটে পেদ্রি'র লাল কার্ড দেখাকে কেন্দ্র করে। রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর পর সেই উত্তেজনার পারদ আরও উঁচুতে পৌঁছায়। হাত মিলিয়ে ফেরার সময় কারভাহাল হাতের ইশারায় ইয়ামালকে 'কম কথা বলা'র ইঙ্গিত দেন। তাতে ক্ষেপে যান বার্সা ফরোয়ার্ড, তার দিকে তেড়ে যাওয়ার পথে বাধা দেন রিয়ালের কামাভিঙ্গা। এরপর একে একে যোগ দেন আরও কয়েকজন। বার্সার ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রেংকি ডি ইয়ংকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে বসেন থিবো কোর্তোয়া। হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ছিলেন ইয়ামাল, তখন কিছুটা দূরে থাকা ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে তার ফের বেধে যায়। আবারও তেড়ে যাওয়া শুরু, সেখানে সতীর্থ–কোচিং স্টাফরা এসে টানাটানি ও প্রতিপক্ষের গায়ে ধাক্কাধাক্কি চলে কিছুক্ষণ।
পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও খোঁচা দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেননি রিয়ালের ইংলিশ মিডফিল্ডার বেলিংহ্যাম। ম্যাচটিতে একটি করে গোল ও অ্যাসিস্ট করা এই তারকা উদযাপনের ছবি দিয়েছেন ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে। ক্যাপশনে ইয়ামালের নাম উল্লেখ না করলেও, বুঝিয়ে দিয়েছেন কথার চেয়ে জবাবটা মাঠে দিতে হয়। বেলিংহ্যাম লিখেছেন, 'স্বস্তা কথা বলা–ই যায়। তবে সবসময় হালা মাদ্রিদ (জেতে)।'
পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও খোঁচা দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেননি রিয়ালের ইংলিশ মিডফিল্ডার বেলিংহ্যাম। ম্যাচটিতে একটি করে গোল ও অ্যাসিস্ট করা এই তারকা উদযাপনের ছবি দিয়েছেন ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে। ক্যাপশনে ইয়ামালের নাম উল্লেখ না করলেও, বুঝিয়ে দিয়েছেন কথার চেয়ে জবাবটা মাঠে দিতে হয়। বেলিংহ্যাম লিখেছেন, 'স্বস্তা কথা বলা–ই যায়। তবে সবসময় হালা মাদ্রিদ (জেতে)।'
অন্যদিকে, ইয়ামালকে ঘিরে ম্যাচ শেষে রিয়ালের খেলোয়াড়দের আগ্রাসী আচরণ অতিরঞ্জিত বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বার্সার ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রেংকি ডি ইয়ং। গণমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, 'শুরুটা কীভাবে হয়েছিল আমি আসলে দেখিনি। বেঞ্চ থেকে দেখি অনেক মানুষের জটলা। যখন রেফারি শেষ বাঁশি বাজালেন, রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা লামিনের দিকে তেড়ে যায়। এটি তাদের বাড়াবাড়ি আচরণ।'
এ ছাড়া মাঠে ইয়ামালের সঙ্গে কারভাহালের আচরণও ভালো লাগেনি ডি ইয়ংয়ের। সতীর্থকে সমর্থন ও কণ্ঠে হতাশা চড়িয়ে তিনি বলেন, 'যদি কারভাহাল আসলেই তার সঙ্গে কথা বলতে চাইতেন, সেটি আলাদাভাবে ডেকে বলা যেত। কিন্তু মাঠে তার এমন ভাবভঙ্গি আগুনের তেজটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। লামিনে কখনোই বলেনি যে মাদ্রিদ প্রতারণা করেছে, আমি কখনোই এমনটা শুনিনি।'
রিয়ালের কাছে বার্সেলোনার হার নিঃসন্দেহে তাদের জন্য হতাশার, যেখানে উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স ছিল না স্বাগতিকদের তিরের নিশানায় থাকা ইয়ামালের। অবশ্য তিনি যে ধারাবাহিকভাবে অফ ফর্মে আছেন তা–ও নয়। সর্বশেষ ম্যাচেও গোল করার পাশাপাশি সুযোগ তৈরি করেছেন ১৮ বছর বয়সী এই তারকা। সম্প্রতি তিনি একাধিকবার ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরেও ছিলেন। গত মৌসুমে কাতালানদের ঘরোয়া ট্রেবল জয়ে অন্যতম ভূমিকা ছিল ইয়ামালের, যা তাকে ব্যালন ডি'অর জয়ের দৌড়েও নিয়ে যায়। যদিও টানা দ্বিতীয়বার সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় (কোপা ট্রফি) হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো তাকে।
Comments