আসলেই আউট ছিলেন ফখর?

সুপার ফোরে হাই ভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। এ ম্যাচের শুরুতেই দেখা দিয়েছিল বিতর্ক। ফখর জামানের একটি ক্যাচকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় প্রশ্ন। সাঞ্জু স্যামসন তার যে ক্যাচটি ধরেছেন সেটি বৈধ কি না, তা নিয়ে দ্বিমত অনেকেই। এমনকি বিষয়টি নিয়ে ধারাভাষ্যকারদেরও দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা করতে দেখা গেছে।
ঘটনাটি ঘটে তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে। হার্দিক পান্ডিয়ার স্লোয়ার বল ফখরের ব্যাটে কানা ছুঁয়ে উইকেটকিপার সাঞ্জুর দিকে যায়। বলটি বেশ নিচু হয়ে গিয়েছিল। সাঞ্জু ক্যাচ ধরেই হার্দিকের দিকে দৌড়ে আসেন। হার্দিক প্রথমে বুঝতে পারেননি আউট হয়েছে কি না। তিনি আম্পায়ারদের দিকে তাকান। আম্পায়ারেরাও নিশ্চিত হতে পারেননি। তারা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দেন তৃতীয় আম্পায়ারকে।
তৃতীয় আম্পায়ার গাজি সোহেল একাধিক কোণ থেকে ঘটনাটি দেখতে চেয়েছিলেন। প্রথমে সোজাসুজি ঘটনাটি দেখার পর একটু 'জুম' করে বিষয়টি দেখা হয়। পরে আরও একটি কোণ থেকে দেখে তিনি আউটের ব্যাপারে নিশ্চিত হন। সোহেল জানান, তার দেখে মনে হয়েছে সাঞ্জুর হাত স্পষ্টভাবেই বলের নীচে ছিল। তাই ক্যাচটি বৈধ।
আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্তে অবশ্য ফখর মোটেই খুশি হননি। তিনি অবাক হয়ে বেশ কিছুক্ষণ ক্রিজে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর মাথা নাড়াতে নাড়াতে সাজঘরে ফিরে যান। ব্যাট দিয়ে প্যাডে আঘাত করতেও দেখা যায় তাকে। সাজঘরে পৌঁছে কোচ মাইক হেসনের কাছেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই ব্যাটার।
ধারাভাষ্যকার তথা পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ওয়াকার ইউনিস শুরু থেকেই দাবি করতে থাকেন, আম্পায়ারের কাছে যথেষ্ট ভিডিও দেওয়া হয়নি। মাত্র দু'-তিনটি ভিডিও দেখে তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ফলে ক্যাচের বৈধতা নিয়ে অবকাশ থাকছেই। ওয়াসিম আকরাম জানান, যেহেতু কোনো 'সাইড অ্যাঙ্গেল ভিউ' ছিল না, তাই সিদ্ধান্ত ব্যাটারের পক্ষে যাওয়াই উচিত ছিল।
ভারতের দুই ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী এবং সঞ্জয় মাঞ্জরেকার অবশ্য পরিষ্কারভাবে কিছু বলেননি। তবে আউটের বৈধতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তারাও। ম্যাচটি অবশ্য সহজের জিতেছে ভারত। আগে ব্যাট করে ১৭১ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ৭ বল ও ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় টিম ইন্ডিয়া।
Comments