একে অপরের কাছে ক্রীড়াঙ্গনে সহায়তা চায় বাংলাদেশ ও চীন

বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্রীড়া ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ ও চীন। ফুটবলসহ অন্যান্য ডিসিপ্লিনে চীনের কাছে সাহায্য চেয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, ক্রিকেট উন্নয়নে বাংলাদেশের সহায়তা চায় চীন।
পারস্পারিক সম্পর্ক ও সৌহার্দ্য বাড়ানোর অন্যতম মাধ্যম খেলাধুলা। যেখানে ফুটবল সব সময় বয়ে বেড়ায় সম্প্রীতির বার্তা। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়েছে এক প্রীতি ম্যাচ। যেখানে চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দলের বিপক্ষে খেলেছে বাফুফের এলিট নারী একাডেমি।
প্রদর্শনী ম্যাচটিতে বাফুফের এলিট নারী একাডেমি হেরেছে ৩-০ গোলে। ফলাফল ছাপিয়ে প্রাধান্য পেয়েছে চীন ও বাংলাদেশের পারস্পারিক সম্পর্ক। এই এক ম্যাচ একত্রিত করেছে রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, সাবেক খেলোয়াড়সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে।
এই ম্যাচ দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, এই খেলা শুধু চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের একটা খেলা, এটা ভাবলে ভুল হবে। বন্ধুত্ব জোরদার করার একটা উপলক্ষ এটা। চীনের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব নতুন নয়, সেটা শুরু হয়েছে জিয়াউর রহমানের আমল থেকে।
চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক খুবই ভালো ও ইতিবাচক। আমরা বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি জায়গায় উশু কার্যক্রম পরিচালনা করি। ঠিক একই ভাবে চীনে ক্রিকেট উন্নয়নে কাজ করে বাংলাদেশ। এখন আমরা একসঙ্গে ফুটবল নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। আমাদের মধ্যে এই আদান-প্রদান সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে।
দেশের ফুটবল কাঠামোর উন্নয়নে এরই মধ্যে চীনের সঙ্গে চলছে আলোচনা। বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পে আতি দ্রুতই আসতে পারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন, চীন আমাদের ইনফাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট পার্টনার। তাদের সঙ্গে আমি কিছু আলোচনা শুরু করেছি, স্টেডিয়াম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ফিজিও ইনফাস্ট্রাকচারের ব্যাপারে। বছরে আমরা অনেকগুলো টুর্নামেন্ট খেলতে চাই, ইয়ুথ ডেভলপমেন্টের জন্য। এই তিনটি বিষয়ে আমরা দ্রুতই ভালো কিছু শুনতে পাব।
Comments