এক ম্যাচে টাইগারদের যত রেকর্ড

সমীকরণের মারপ্যাঁচ মিলিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে উঠতে হয়েছে বাংলাদেশকে। যেখানে তাদের শুরুটা হয়েছে দুর্দান্ত। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে যে শ্রীলঙ্কাকে টাইগার ক্রিকেটভক্তরা সমর্থন দিয়েছে, তাদের হারিয়েই বাংলাদেশ সুপার ফোর শুরু করল। ৪ উইকেটে জয়ের পথে ব্যক্তিগত অর্জনের পাল্লা ভারী করে বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়েছেন লিটন দাস ও মুস্তাফিজুর রহমানরা।
দুবাইয়ে গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৭ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে। ডেথ ওভারে মুস্তাফিজ-তাসকিনরা তাদের চেপে না ধরলে তাদের পুঁজিটা আরও বড় হতে পারত। বিশেষ করে দারুণ ইকোনমির সঙ্গে কার্যকর ব্রেকথ্রু'র কল্যাণে প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের কাছ থেকেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন মুস্তাফিজ। ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচায় তিনি ৩ উইকেট শিকার করেছেন। যা টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সেরা ফিগার।
এতদিন সংক্ষিপ্ত সংস্করণের এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগার ছিল আল-আমিন হোসেনের। ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে এতদিন বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট ছিল ডানহাতি এই পেসারের। এদিক থেকেও তার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন মুস্তাফিজ (১১ ম্যাচে)। টুর্নামেন্টটিতে দুজনের উইকেটসংখ্যা সমান ১১। যদিও আল-আমিন ফিজের চেয়ে ম্যাচ (৫) কম খেলেছেন। ১০ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
এ ছাড়া মুস্তাফিজ এখন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বোলার। এতদিন রেকর্ডটি ছিল কেবল সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের দখলে। ১২৯ ম্যাচে তিনি ৬.৮১ ইকোনমিতে ১৪৯ উইকেট শিকার করেন। তার চেয়ে আরও ১২ ম্যাচ (১১৭) কম খেলেই সমান ১৪৯ উইকেট শিকার করলেন ফিজ। যেখানে তার ইকোনমি ৭.২৯। ৯৯ উইকেট নিয়ে তালিকার তিনে আছেন তাসকিন।
অন্যদিকে, লঙ্কানদের লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাটিংয়ে প্রধান ভূমিকা ছিল সাইফ হাসান ও তাওহীদ হৃদয়ের। ওপেনিংয়ে নেমে সাইফ ৪৫ বলে ৬১ এবং হৃদয় ৩৭ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। মাঝে ছোট ইনিংসে কার্যকর হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিলেও লিটন দাস আউট হয়ে যান ১৬ বলে ২৩ রানে। তবে এরই মাঝে তিনি একটি রেকর্ড গড়েছেন। বর্তমানে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক লিটন। এতদিন এই রেকর্ডেও শীর্ষে ছিলেন সাকিব। তার করা ২৫৫১ রান (১২৯ ম্যাচ) টপকে লিটনের বর্তমান রান ২৫৫৬ (১১৪ ম্যাচ)।
Comments