সম্পর্কের কথা বিবেচনা করে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিবেন তাসকিনের বন্ধু

জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদের বিরুদ্ধে গুরুতর এক অভিযোগ উঠেছে। মারধরের অভিযোগ এনে মিরপুর মডেল থানায় এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তার বাল্যবন্ধু সিফাতুর রহমান সৌরভ। তবে গণমাধ্যমকে সৌরভ জানিয়েছেন, বন্ধুর ক্যারিয়ারের কথা বিবেচনা করেই অভিযোগ প্রত্যাহার করবেন তিনি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, তাসকিন ফোন করে তার বন্ধুকে ডেকে নেন এবং মারধর করেন। এছাড়া তাকে ভয়ভীতি দেখান বলেও উল্লেখ করা হয়। তবে তাসকিন বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে গুজবে বিভান্ত্র না হওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছেন তাসকিন।
তবে তাসকিনের বন্ধু সৌরভ মিডিয়াকে জানিয়েছেন, তাসকিনের সঙ্গে তার পুরোপুরি কথা হয়নি এ বিষয়ে। তবে তিনি এটাও নিশ্চিত করেছেন যে, বন্ধুর ক্যারিয়ারের কথা বিবেচনা করে অভিযোগ তুলে নেবেন, তবে তার আগে তাসকিনের সঙ্গে কথা বলবেন।
সৌরভ আরও জানান, 'আমার সাথে তাসকিনের পুরাপুরি কথা হয় নাই। শুধু আমি তো একা না, আমার সাথে ফ্রেন্ড আছে আরও একজন, মুশফিক। আমাদের দুজনের সাথে সবকিছু ক্লিয়ার করবে, তারপর আমি অভিযোগ উইথড্রো (প্রত্যাহার) করে ফেলবো, ঠিক আছে! আমাকে জাস্ট একটু সময় দিতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'অভিযোগ আমি প্রত্যাহার করবো, কিন্তু তার আগে আমি তাজিমের (তাসকিন) সাথে কথা বলে নেবো। যেটা ও করছে সেটাই যেন হয়। ও আরেকটা ফ্রেন্ড-এর নামে যে মিথ্যা কথা বলতেছে, এটা যেন না হয়।'
বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। জাতীয় দলের একজন তারকা ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অবশ্য সবাইকে অবাক করেছে এটাই স্বাভাবিক, বিশেষ করে তাসকিনের মতো ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। তবে তাসকিনের বন্ধু সৌরভ আসলে ব্যাপারটি নিয়ে আর এগোতে চান না।
'আমি উইথড্রো তো করবোই, আমি তো কেইস করি নাই; আমি জাস্ট অভিযোগ করেছি। না হলে তো আমি কেইস করতে পারতাম। এটা হয়তো এভাবে সামনে না এসে আরও খারাপভাবে আসতে পারতো। ওইটা আমি হ্যান্ডেল করছি, আমি তাজিমের (তাসকিন) কথা চিন্তা করেই হ্যান্ডেল করছি। তো আমি আর আগাইতে চাই না টোটালি। বাট আমি যেন প্রোটেক্টেড (সুরক্ষা) থাকতে পারি ওরকম নিশ্চয়তা আমাকে দিতে হবে।'
তাসকিনের ছোটবেলার বন্ধু সৌরভ। সে নিজেও অবশ্য চায় না যে তাসকিন তার ক্যারিয়ারে কোনো ঝামেলায় পড়ুক। কিন্তু নিজের সুরক্ষার জন্যই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
'আমি তো ছোট বেলার ফ্রেন্ড। আমিও চাই না সে তার ক্যারিয়ারে হ্যাম্পার (ঝামেলায়) হোক। সে অনেক ইমপরট্যান্ট পার্সন (গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) বাংলাদেশের। বাট নিজেদের মধ্যে একটা কথা কাটাকাটি, ভুল বুঝাবুঝি; বাট আমি চাই না বাইরের মানুষ জিনিসগুলো নিয়ে কথা বলুক। তারপরেও এটা আউট অব দ্য লাইন হয়ে গেছে দেখে এই স্টেপটা (পদক্ষেপ) নিতে হইছে আমার নিজস্ব সেফটির (নিরাপত্তা) কারণে।'
Comments