ক্লাব বিশ্বকাপে কে কোন পুরস্কার জিতলেন

মেটলাইফ স্টেডিয়ামে পিএসজিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে চেলসি। ম্যাচের নায়ক ছিলেন কোল পালমার যিনি প্রথমার্ধেই দুটি গোল করেন এবং একটি গোল তৈরি করে দেন হোয়াও পেদ্রোর জন্য। দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবে টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার 'গোল্ডেন বল' জিতেছেন তরুণ ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
পুরো টুর্নামেন্টেই নজর কাড়েন পালমার। কোয়ার্টার ফাইনালে পালমেইরাসের বিপক্ষে গোল করার পাশাপাশি বেনফিকার বিপক্ষে করেছেন এক অ্যাসিস্টও। তার ধারাবাহিক নৈপুণ্যতায় চেলসি পৌঁছে যায় চূড়ান্ত গন্তব্য।
তবে কেবল গোলেই নয়, খেলার ছন্দ বদলাতেও কেউ কেউ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। পিএসজির ভিতিনহা ছিলেন তেমনই একজন। টুর্নামেন্টে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদের মতো জায়ান্টদের হারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই মিডফিল্ডারের। তার ঝুলিতে গেছে অ্যাডিডাস সিলভার বল।
ব্রোঞ্জ বল জিতেছেন চেলসির ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মইসেস কাইসেডো। অন্যদিকে, সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় হয়েছেন পিএসজির দেজিরে দুয়ে। ফাইনাল হারলেও পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে পিএসজির আক্রমণভাগে তরুণ এই ফরোয়ার্ডের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
চ্যাম্পিয়ন চেলসির গোলরক্ষক রবার্ট সানচেজ পেয়েছেন গোল্ডেন গ্লাভস পুরস্কার। ফাইনালে পিএসজির নেওয়া অনটার্গেট ৬টি শটই ঠেকিয়েছেন তিনি।
এদিকে, গোল্ডেন বুট জিতেছেন রিয়াল মাদ্রিদের ২১ বছর বয়সি স্ট্রাইকার গঞ্জালো গার্সিয়া। 'বি' দল থেকে উঠে আসা এই তরুণ ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল ও একটি অ্যাসিস্ট। সমান ৪ গোল করে তালিকায় ছিলেন বেনফিকার আনহেল ডি মারিয়া, বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সেরহো গুইরাসি ও আল হিলালের মারকোস লিওনার্দো। তবে কারোরই ছিল না কোনো অ্যাসিস্ট, যার ফলে গোলসংখ্যা সমান হলেও এককভাবে তিনিই জিতে নিয়েছেন গোল্ডেন বুট।
Comments