স্বাস্থ্য সহকারীরা মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য খাতের সুনাম অর্জন করেছেন : ডা. জাহিদ
স্বাস্থ্য সহকারীরা মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য খাতের সুনাম অর্জন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি একথা বলেন।
এর আগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। হেলথ্ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হ্যাব)'র আহবায়ক কমিটির প্রতিনিধি সম্মেলনের অংশ হিসেবে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা ও দোয়া মাহফিল ছিলো সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. জাহিদ বলেন, 'স্বাস্থ্য শিক্ষা ও শিশু এবং মহিলাদের টিকাদান কার্যকক্রমসহ স্বাস্থ্য সহকারীরা মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চিকিৎসকের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার তৃণমুল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা বাংলাদেশ মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য খাতের সুনাম অর্জন করছেন। টিকাদান কার্যক্রমে স্বাস্থ্য সহকারীদের জন্যই বিশ্বে বাংলাদেশ আজ অনেক এগিয়ে।
৬ হাজার জনগণের জন্য ১ জন স্বাস্থ্য সহকারী প্রয়োজন কিন্তু জনবল বাড়ানো হচ্ছে না। তাদের জীবন মান উন্নয়নের জন্য অতি দ্রুত জনবল বৃদ্ধি জরুরি। আপগ্রেডেশনসহ দাবি বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য দাবি জানাই। আমি বলতে চাই, পরবর্তী সময়ে আমার দল জনগণের ভোটে সরকার গঠন করলে আমরা স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবি বাস্তবায়ন করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।
এর আগে সকালে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে এ সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন হয়। এতে দেশের ৬৪ জেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশ নেন।
সম্মেলনের আয়োজক কমিটির আহবায়ক মো. ওয়াসি উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. শাহ আলী আকবর আশরাফী।
সম্মেলন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মো. ফজলুল হক চৌধুরীর পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরির্দশক সমিতির সভাপতি দীনেশ চন্দ্র মন্ডল, বাংলাদেশ হেলথ্ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জুয়েল আল মোস্তাহিদ, জিয়াউল হক কাবুল, শহিদুর রহমান ও আব্দুস সালাম প্রমুখ।
Comments