বাঙালির সাতকাহন

কী ছিল না বাঙালি পাতে!
মাছে ভাতে বাঙালি পাতে ছোটলোকি চিন্তাও ছিল।
তারপরে ছিলো স্তরে স্তরে সাজানো
নান্দনিক হিংসে বিদ্বেষ বদনাম
যত পাই তত চাই সংস্কৃতি
কিছু বুঝতে না পারা অভিনয় জীবন।
আরো ছিল যেন তেন উপায়ে বাড়ি গাড়ি হেরেম গদি নানান পদের আহার সংস্কৃতি চিন্তা;
জাতে মাতাল তালে ঠিক ধর্মেও থাকি আবার
প্রতারণা মিথ্যা চুরি ডাকাতি চোগলখোরি পায়ুকাম ধর্ষণেও জাত পাকা কাজকারবার।
কথায় কথায় —আমরা সকলকিছুতে থাকি
বাঙালির গুণবাচক বিশেষণ যে একেবারে খালি তা কিন্তু নয়
চামচামিতে জগতজোড়া যা করেন তা
আবার নিজেরা বিশ্বাস করেন কম।
ভালোবাসাবাসি ঘরে সবাই যেন অতিথি
এখানে কেউই কাউকে খাঁটি আপন করে ভালোবাসাবাসি কম
কথায় কথায় কসম শপথ সেরে সুযোগ বুঝে সটকে পড়েন।
রাজনীতির কথাতো বলাই হয়নি
যে যত প্রকারের ধ্রুপদী অভিনেতা
মিথ্যুক প্রতারক বাটপার
রাজনীতির শীর্ষ খ্যাতি একমাত্র তার।
বাঙালি মানে — পরের ধন লুটে পুটে পোদ্দারি মনে নব্য পুরাতন মিশেল জমিদারি চৌধুরী খান একাকার;
তাঁরা একজাতি একদেশ মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন একেবারে কম
সুযোগ পেলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে রিফুইজি জীবনেরও অংশ হয়ে যান।
বাঙালি নিজেরা নিজেদের ভাবেন
একখন্ড পাকিস্তানী ইসরাইল লোবানন সৌদি ওমান ফিলিস্তিনি সিংগাপুর মার্কিন কানাডা ইন্ডিয়ান আফগানিস্তান।
বাঙালি বুদ্ধিজীবীদেরও রয়েছে নানান ছলনায় কামাই ধান্ধা খায়েশ যত মত তত পথ;
তাঁদের নিয়েও এই জাতির মস্তবড় সমস্যা
তারা নিজেরা নিজেদের ঠন ঠন জ্ঞান গরিমা নিয়ে আতঙ্কে থাকেন
কেউ কেউ টাকার লোভে হিরো আলম
রিয়া মণির বই গোপনে লিখে দেন।
কবিদের নিয়েও মস্তবড় জাতীয় সমস্যা
তারা এর ওর লেখা কালোবাজারি
গুদামজাত করেন
সুযোগ বুঝে নিজের নামে ছাপিয়ে দেন।
সাংবাদিকদের নিয়েও একেবারে না বললে নয়
কোনটা বললে তাঁরা না জানি গোস্বা হয়।
এক একজন বাঙালি মান
Comments