লবণ কি কিডনির জন্য ক্ষতিকর?
আমরা অধিকাংশ মানুষই খাবারে অতিরিক্ত লবণ খেতে পছন্দ করি। হতে পারে তা খাবারের ওপর ছিটিয়ে দিয়ে বা প্রক্রিয়াজাত খাবারের সঙ্গে। এ ধরনের অভ্যাস নিয়ে খুব একটা ভাবতে দেখা যায় না কাউকে। অথচ এই অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস ধারণার থেকেও বেশি উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে অনুযায়ী চেন্নাইয়ের এআইএনইউ হাসপাতালের সিনিয়র ইউরোলজিস্ট ও নির্বাহী পরিচালিক ডা. ভেঙ্কট সুব্রামানিয়াম জানিয়েছেন, লবণ কীভাবে কিডনির ক্ষতি করতে পারে এবং এর সুরক্ষার পদক্ষেপগুলো কী হতে পারে। তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
কিডনির জন্য কী পরিমাণ লবণ অধিক:
ডা. ভেঙ্কট ব্যাখ্যা করেছেন, অনেকে প্রতিদিন কী পরিমাণ লবণ গ্রহণ করেন, তা অবমূল্যায়ন করেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই লবণ পাথর, উচ্চ রক্তচাপ ও গুরুতর কিডনিজনিত সমস্যা তৈরি করতে পারে। এমনকি কিডনির কার্যকারিতাও নষ্ট করতে পারে। যারা আগে থেকেই কিডনিজনিত রোগে বা বিকল হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন, তাদের লবণ গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত।
এ চিকিৎসক বলেন, প্রতিদিনের রান্নায় একটি সহজ সমন্বয় বিশাল পার্থক্য আনতে পারে। বিষয়টি আরও সহজ করে তিনি বলেন, আপনার খুব বেশি লবণের প্রয়োজন নেই। পরিবর্তে লেবু, গোলমরিচ ও রসুনের মতো উপাদান ব্যবহার করলে প্রাকৃতিকভাবে খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি পায়। এসব অতিরিক্ত লবণের ওপর নির্ভরতা কমানোর সঙ্গে সঙ্গে খাবারে স্বাদ ও সুগন্ধ যোগ করে। যা সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি।
স্বাদের সঙ্গে আপস না করে লবণ কমানোর উপায়:
ডা. ভেঙ্কট প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকা লবণের প্রতি সচেতন থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। যা স্বাভাবিকভাবেই মানুষের অজান্তেই সুপারিশকৃত দৈনিক লবণের পরিমাণ অতিক্রম করতে পারে। রান্নার সময় খুব কম লবণ যোগ করলেও প্রক্রিয়াজাত খাবার সামগ্রিক সোডিয়াম গ্রহণের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করতে পারে। এ কারণে লেবেলের প্রতি দৃষ্টি দেয়া এবং যতটা সম্ভব এমন উপাদান নির্বাচন করুন, যা কিডনি রক্ষায় অবদান রাখে।
দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট খাদ্যাভ্যাস এবং ধারাবাহিক পরিবর্তন কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করতে পারে। এ ব্যাপারে ডা. ভেঙ্কটের পরামর্শ―রান্নার অভ্যাসে কিছুটা সচেতনতা এবং সমন্বয় আগামী সময় আপনার কিডনির স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহয়াক হতে পারে।
Comments