সকালের নাশতায় ভাত-রুটি খাওয়া উপকারী না ক্ষতিকর?

সকালের নাশতায় ভাত-রুটি খাওয়া উপকারী না ক্ষতিকর?সকালের নাশতা হচ্ছে দিনের প্রথম খাবার। নাশতায় কী খাবেন, কী খাবেন না―সেটি নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নাশতায় এমন সব খাবার রাখার কথা বলে থাকেন পুষ্টিবিদরা, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং আপনাকে দীর্ঘসময় শক্তি সরবরাহ করবে। কেননা, নাশতা নিয়ে সচেতন না হলে শরীরে শক্তির ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
শরীরে শক্তির ঘাটতি দেখা দিলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে এবং কাজে অনীহা কিংবা গতি কমে যাবে। এ জন্য নাশতায় সতর্ক হওয়া উচিত। কিন্তু নাশতায় অনেকেই অনেক ধরনের কাবার খান। কেউ ডালিয়া, কেউ ওটস, আবার কেউ ব্রাউন ব্রেডের পরিবর্তে ভাত-রুটির মতো কার্বযুক্ত খাবার খান।
প্রশ্ন হচ্ছে, সকালে ভাত-রুটি খাওয়া কি উচিত? এতে নাকি স্বাস্থ্যের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। এ নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদার। এবার তাহলে সকালের নাশতার ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
ভাত-রুটি কার্বের ভাণ্ডার:
ভাত ও রুটি হচ্ছে মূল কার্বের সোর্স। কার্ব হচ্ছে শক্তির উৎস। এসব খাবার থেকে পাওয়া কার্বকে পুড়িয়েই প্রয়োজনীয় শক্তি অর্জন করে শরীর। এ জন্য শক্তির ঘাটতি পূরণে ভাত-রুটি খাওয়া যেতেই পারে। উভয় খাবারেই অল্প পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। এ জন্য সুস্থ থাকতে নাশতায় ভাত বা রুটি রাখা যেতে পারে।
নাশতায় ভাত-রুটি কী ঠিক আছে:
সকালের নাশতা হিসেবে অনেকেই ভাত বা রুটি খেয়ে থাকেন। এতে শরীর প্রয়োজনীয় শক্তি পায়। শরীরে প্রাণ ফিরে। এ জন্য সকালে ভাত বা রুটি খেতে কোনো নিষেধ নেই। এতে আরও উপকারই পাওয়া যায়।
ফুল মিল খেলে উপকার:
সকালের নাশতায় ভাত-রুটির সঙ্গে এক বাটি সবজি রাখতে হবে। সঙ্গে মাছ, ডিম, মাংসের মধ্যে যেকোনো একটি প্রোটিন যুক্ত পদ রাখতে পারেন। এতে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মেটানো সম্ভব। সবশেষ এক বাটি দই খেয়ে নিন। দইয়ে অত্যন্ত উপকারী ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। যা গ্যাস-অ্যাসিডিটির মতো একাধিক রোগের সমস্যা সমাধানে সহায়ক।
তিনবেলা ভাত নয়:
অনেকেই সকালের নাশতা, দুপুর ও রাতের ভারী খাবারে ভাত খেয়ে থাকেন। অর্থাৎ, তিনবেলাই ভাত খান। এতে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ, ভাতের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেশি। এ জন্য নিয়মিত ভাত খাওয়া হলে রক্তে সুগারের মাত্রা অল্প সময়ে বেড়ে যাবে। তাই ডায়াবেটিসের মৃত্যু ফাঁদ এড়াতে ভাত খাওয়ায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
রাতে হালকা খাবার:
সুস্থতার জন্য সকালে ও দুপুরে ভারী খাবার খেতে পারেন। তবে রাতে ভাত-রুটির সঙ্গে অযথাই ভারী কোনো পদ রাখা যাবে না। এতে সমস্যা বাড়বে। এ জন্য রাতে হালকা খাবার খাওয়া ভালো। বিশেষ করে মাছ-মাংস এড়িয়ে চলুন। এতে দীর্ঘদিন সুস্থ থাকবেন।
Comments