সিলেটে সিআইডি কর্মকর্তাকে ছাত্রলীগ নেতার ছুরিকাঘাত
সিলেট নগরীর সাগরদীঘিরপাড় এলাকায় একটি সাইবার মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত ব্যক্তিকে আটক করতে গিয়ে সিআইডির উপপরিদর্শক মো. খোরশেদ আলম আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ ও সিআইডির যৌথ দল। সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বলছে, একটি মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীকে ধরতে অভিযান পরিচালনার সময় ওই ব্যক্তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তাকে আটক করতে এগিয়ে গেলে তিনি ধারালো একটি ছুরি দিয়ে সিআইডি কর্মকর্তা খোরশেদ আলমকে আঘাত করে দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে আহত কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।
ঘটনার পরপরই পুলিশ ও সিআইডি একাধিক দল অভিযান শুরু করে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ভোররাতে এয়ারপোর্ট থানার মজুমদারী এলাকার একটি মেসে অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আটক করা হয়। আটক রহিম উদ্দিন রাজু (৩৩) সিলেটের কানাইঘাট থানার পশ্চিম কোনাগ্রাম এলাকার রফিক উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশিতে তার কাছে একটি ভিজিটিং কার্ড পাওয়া যায়, যেখানে তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে পরিচয় উল্লেখ করেছিলেন। কার্ডটির বৈধতা বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।
এদিকে সিআইডির ডিআইজি ড. মো. আল মামুনুর আনসারী আজ বিকেলে জরুরি এক ব্রিফিংয়ে জানান, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পূর্বে বিভিন্ন থানায় মোট ছয়টি মামলা রয়েছে—যার মধ্যে কোতোয়ালী থানায় একাধিক এবং শাহপরাণ থানায় চুরি ও মারপিটসংক্রান্ত মামলা রয়েছে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের ওপর এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায়, রাজু মোটরসাইকেলে ওঠার সময় সিআইডির সদস্যরা তাকে আটক করার চেষ্টা করলে তিনি পকেট থেকে ছুরি বের করে উপপরিদর্শক খোরশেদ আলমকে আঘাত করেন। এরপর তিনি দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে পুনরায় মোটরসাইকেলে উঠে এলাকা ত্যাগ করেন। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
Comments