চাঁদপুরে শীতকালীন সবজি আবাদে ব্যস্ত চাষীরা, তবে সার সংকটে হতাশা
মাঠঘাট শুকিয়ে যাওয়ায় এবং ঠান্ডা পরিবেশ শুরু হওয়ায় চাঁদপুরে শীতকালীন সবজি আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। তবে সার ও সরকারি সহায়তার অভাব এবং বাজারে সারের উচ্চ মূল্যের কারণে উৎপাদন খরচ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা।
চাঁদপুর জেলা সদরের কাছাকাছি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৯নং উত্তর গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সোবান গ্রামে সরেজমিনে দেখা যায়, শুকনো মাঠের পর মাঠে কচুরিপানা পচিয়ে তার ওপর চলছে বিভিন্ন শীতকালীন সবজি ও নানা প্রজাতির চারা উৎপাদন।
এখানকার মিজান, আবদুল, জলিল সহ আরো অনেকে চাষীরা জানান, সবজি আবাদ এবং চারা উৎপাদনে তাদের কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি প্রচুর টাকা খরচ করতে হচ্ছে। কিন্তু সারের উচ্চ দাম এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তাদের মনে সংশয়, এত পরিশ্রমের পর সবজির ফলন বিক্রি করে তারা আদৌ খরচ পোষাতে পারবেন কি না।
কৃষকরা তাদের চাষাবাদের খরচ পোষাতে সার সহায়তা এবং সরকারি অর্থ সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
এদিকে, সারের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সার ব্যবসায়ী এবং কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
চাঁদপুর জেলা ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মহসীন পাটোয়ারী দাবি করেন, আগের মতো সরকারি বরাদ্দ না পাওয়ায় বাজারে সারের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তবে তারা সামঞ্জস্যতা রেখে দাম স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করছেন।
চাঁদপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবু তাহের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, বাজারে সারের কৃত্রিম সংকট দেখানো হচ্ছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, জেলায় এখনো সারের কোনো সংকট নেই। তিনি আরও যোগ করেন, চাষীরা উন্নত প্রযুক্তিতে চাষাবাদ করলেই খরচ পোষাতে পারবে এবং এ বিষয়ে কৃষি বিভাগ প্রান্তিক পর্যায়ে নানা পরামর্শ দিয়ে কাজ করছে।
চলতি মৌসুমে চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলাতে মোট ৬ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে শাকসবজির আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আবাদের অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমিতে। কৃষি অধিদপ্তরের দাবি, সময়ের সাথে সাথে এই অগ্রগতি বাড়াতে মাঠ পর্যায়ে তাদের কাজ অব্যাহত রয়েছে।
শিমুল অধিকারী সুমন, চাঁদপুর
Comments