মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী প্রেমিকের বিশেষ অঙ্গ কর্তন, আদালতে নারী
প্রেমিকের যৌনাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগে ৩৪ বছর বয়সী এক বাংলাদেশী নারীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির প্রশাসন। দুই সপ্তাহ আগে গ্রেপ্তার হওয়া এই নারীকে আজ দেশটির জোহরবারু'র একটি আদালতে তোলা হয়।
আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করেন অভিযুক্ত বাংলাদেশী নারী বেগম মাসুমা। এ সময় বিচারক দাতুক আহমেদ কামাল আরিফিনি আদালতে দোভাষী না থাকায় আসামির জামিন নামঞ্জুর করে। এদিকে আসামি দোষ স্বীকার করলেও আদালতে তা গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। বিচারক মনে করেন দোভাষী না থাকায় অভিযুক্ত অনেক কিছু না বুঝতে পারাই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে বাংলাদেশী দোভাষীর সেবা নেওয়ার জন্য মামলাটি পুনরায় ১১ ই নভেম্বর দিন ধার্য করেছে।
মামলার চার্জশিটের ভিত্তিতে, বাংলাদেশি নারী ইচ্ছা করেই ছুরি ব্যবহার করে প্রেমিক বাবু মন্ডলকে (৩৩) গুরুতর আহত করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে ৮ অক্টোবর, রাত ১টার দিকে, গেলাং পাতাহ- এর একটি কারখানার পিছনে একটি জমিদার বাড়ির এলাকার কাছে।
ঘটনার সাথে অভিযুক্ত বাবু মণ্ডল একটি কারখানার উৎপাদন অপারেটর হিসেবে কর্মরত, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ৩২৬ ধারার অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে দোষী সাব্যস্ত হলে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং জরিমানা হতে পারে।
ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর জুহাইনি জুল কাফলি আদালতকে জানিয়েছেন, এই ধারার অধীনে অপরাধটি জামিনের অযোগ্য এবং তার পক্ষ তিনটি কারণে কোন জামিনের সুপারিশ করবে না।
'অভিযুক্ত একজন বিদেশি এবং মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকার অভিযোগে আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগে দায়ের করা হয়। এখানে আরো উল্লেখ করা হয় যে, ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্ত একই বাড়িতে একসাথে থাকতেন।
অভিযুক্তকে অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করার অপরাধে ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬(১)(গ) অধীনে বিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে এবং একই আইনের ধারা ৬(৩)এর অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর নুর ফাতিহা মোহাম্মদ নিজাম মামলাটি পরিচালনা করেন এবং ভুক্তভোগী যাতে ন্যায় বিচার পান সেজন্য দোভাষীসহ ১১ নভেম্বর মামলাটির দিন ধার্য করা হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় যে, একজন বাংলাদেশী মহিলাকে ইর্ষার বশবর্তী হয়ে তার প্রেমিকের যৌনাঙ্গ কেটে ফেলার পর বাংলাদেশী নারীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রেমিকা বুঝতে পারেন দেশে প্রেমিকের স্ত্রী আছে। তবে প্রেমিক জুটির নাম প্রকাশ করলেও তদন্তের স্বার্থে তাদের ঠিকানা প্রকাশ করা হয়নি।
Comments