স্বপ্নীল সজীব: এক সুরযাত্রার অনন্ত অধ্যায়

১০ আগস্ট, রোববার নিউইয়র্কে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন আয়োজিত পিকনিক অনুষ্ঠানে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত থাকছেন স্বপ্নীল সজীব। আমরা যারা বাংলা সংস্কৃতির টানে বড় হয়েছি, সঙ্গীত আমাদের অনুভবের সবচেয়ে কাছের ভাষা। আর সেই ভাষার অনুবাদক হয়ে বারবার ধরা দিয়েছেন স্বপ্নীল সজীব—একটি নাম, যার মধ্যে আছে কণ্ঠের স্নিগ্ধতা, সাধনার গভীরতা, আর এক অনন্য শিল্পচেতনা।
শৈশবের সরলতায় খালার হাত ধরে প্রথম মঞ্চে গাওয়া গান থেকে শুরু করে ছায়ানটে প্রাতিষ্ঠানিক তালিম—সব যেন ছিল সুরের এক সাজানো সিঁড়ি। তার কণ্ঠে প্রথম যখন রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনি, মনে হয়েছিল যেন গানের মধ্যে একটা গল্প আছে, একটা সময় আছে, আর আছে এক আত্মিক সংযোগ। গুরু হিসেবে পেয়েছেন কিংবদন্তি ওয়াহিদুল হক ও রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার মতো মহীরুহ, যাঁদের প্রভাবে তার শিল্পকর্মে এসেছে মমতা ও মগ্নতা। ২০১২ সালে 'The Tagore Treasury' দিয়ে শুরু তাঁর পেশাদার সঙ্গীতজীবন, এবং তারপর থেকে একের পর এক গানে দুই বাংলার হৃদয় ছুঁয়েছেন তিনি।
তার গান শুধু সুর নয়, শব্দের গাঁথুনিতে গড়ে ওঠা এক অনুভব—যার মধ্যে আছে বাংলার আদর, বেদনা, আশা। স্বপ্নীল সজীবের সবচেয়ে বড় পরিচয়—তিনি সঙ্গীতকে দায়িত্বের মতো গ্রহণ করেছেন। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গীত শিক্ষা, আন্তর্জাতিক কর্মশালায় অংশগ্রহণ—সব তার আন্তরিকতার পরিচায়ক। বাংলাদেশ, ভারত, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, মরক্কো—সবখানে তিনি বাংলার গান ছড়িয়ে দিয়েছেন।
তার যুগলবন্দী বিশ্বমোহন ভট্ট, রুনা লায়লা, অলকা ইয়াগনিক, শ্রেয়া ঘোষালের সঙ্গে—সব যেন বাংলার সংগীত ঐতিহ্যের এক যুগল অধ্যায়।
Comments