জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ সবাই খালাস
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই মামলার বাকি আসামিদেরও খালাস দিয়েছেন আদালত।
রায়ের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে আজ বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে, গত ২০ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আপিলের ওপর শুনানি হয়। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চে এই শুনানি হয়।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও কায়সার কামাল। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আসিফ হাসান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার।
শুনানিতে আদালত জানতে চান, অন্য আসামিরা আপিল করেছেন কি না। তখন দুদক আইনজীবী জানান, অন্য আসামিরা আপিল করেছেন। এ সময় একসঙ্গে আপিলগুলো শুনানির কথা জানিয়ে আদালত আজ বুধবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।
এর আগে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার আপিল শুনানির জন্য নিজ খরচে পেপারবুক তৈরির আবেদন করেন খালেদা জিয়া, যা ৩ নভেম্বর মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় ওই মামলা করে দুদক। ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি) এই মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন। পরে হাইকোর্টে আপিল করেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। আর ৬ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়।