কুরবানির জন্য সুস্থ পশু নির্বাচন করতে পারেন যেভাবে

ঈদুল আজহার আর বাকি আছে মাত্র দুইদিন। শেষ সময়ের এসে প্রতিবারের মতো ততই জমজমাট হয়ে উঠছে কুরবানির পশুর হাটগুলো। গরু ও ছাগলের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। তবে এ সময় কিছু অসাধু বিক্রেতা অসুস্থ কিংবা কৃত্রিমভাবে মোটা করা পশু হাটে নিয়ে আসে। বিশেষ করে স্টেরয়েড দিয়ে মোটাতাজা করা গরু বাইরে থেকে মোটা-তাজা ও আকর্ষণীয় দেখালেও আসলে তা ক্ষতিকর। তাই কুরবানির জন্য পশু কেনার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। কিছু কৌশল জানা থাকলে সুস্থ পশু চেনা তুলনামূলকভাবে সহজ হয়।
গরু বা ছাগলের বয়স: ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী, কুরবানির জন্য গরুর বয়স অন্তত দুই বছর এবং ছাগলের বয়স কমপক্ষে এক বছর হতে হবে। অনেক সময় হাটে কম বয়সী পশু আনা হয়। গরুর দাঁত দেখে বয়স কিছুটা অনুমান করা যায় সাধারণভাবে, দুই দাঁত থাকা মানে গরুটি দুই বছর পূর্ণ করেছে। তবে সবসময় এটি সঠিক নাও হতে পারে, তাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য অভিজ্ঞ কাউকে সঙ্গে নেওয়াই ভালো। এছাড়াও গর্ভবতী পশু কুরবানির জন্য উপযুক্ত নয়। কেনার আগে অবশ্যই এটি যাচাই করে নিতে হবে।
সুস্থ পশু শনাক্তের উপায়: সুস্থ পশু নির্বাচন করতে কিছু লক্ষণ খেয়াল রাখা দরকার। যেমন:
> পশু নিয়মিত লেজ নাড়িয়ে মাছি তাড়াবে এবং মাঝে মাঝে অবস্থান পরিবর্তন করবে।
> খাওয়ার সময় স্বাভাবিক আচরণ করবে ও বিশ্রামের সময় জাবর কাটবে।
> চোখ থাকবে বড় ও উজ্জ্বল।
> দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে।
> শ্বাস-প্রশ্বাস হবে স্বাভাবিক, হাঁপানির মতো লক্ষণ দেখা যাবে না।
> পশুর প্রস্রাব ও গোবর স্বাভাবিক কি না তা দেখা ভালো।
> পিঠের কুঁজ থাকবে মোটা ও টানটান।
> শরীরের রং চকচকে হবে, চামড়ায় কোনো অস্বাভাবিক দাগ থাকবে না।
> গায়ে হাত দিলে প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে— এটি পশুর সজীবতার লক্ষণ।
অভিজ্ঞ কেউ সঙ্গে থাকলে পশু বাছাই করা আরও সহজ হয়। তবে উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো মনে রাখলে নিজের পক্ষেও সঠিক ও সুস্থ কুরবানির পশু চেনা সম্ভব।
Comments