আজ আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস

আজ ১৫ মে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস। ১৯৯৩ সালে বিশ্বজুড়ে পরিবারের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে ও পরিবারের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে জাতিসংঘ ১৫মে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস পালনের ঘোষণা দেয়। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- 'পরিবারকে ঘিরেই টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি গড়া।' পরিবারের প্রতি গুরুত্ব ও সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছরই এই দিবসটি পালন করা হয়।
১৯৮০ সালে জাতিসংঘ পরিবার সম্পর্কিত বিষয়সমূহের ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে শুরু করে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সুপারিশের প্রেক্ষিতে ১৯৮৩ সালে সামাজিক উন্নয়ন কমিশনের ১৯৮৩/২৩ নম্বর রেজুলেশনের মাধ্যমে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় পরিবারের গুরুত্বের ওপর সর্বস্তরে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মহাসচিবের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম ও অনুরোধের ধারাবাহিকতায় ১৯৮৯ সালের ৯ ডিসেম্বর সাধারণ পরিষদের রেজুলেশনের মাধ্যমে ১৯৯৪ সালকে আন্তর্জাতিক পরিবার বর্ষ ঘোষণা করা হয়। প্রতিবছর ১৫ মে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস পালন করার উদ্দেশ্যে ১৯৯৩ সালের সাধারণ পরিষদে রেজুলেশন গৃহীত হয়।
২০২২ সালের শেষের দিকে, বিশ্বের জনসংখ্যা আট বিলিয়নে পৌঁছেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব বিশ্বের এ জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে 'মানব উন্নয়নে একটি মাইলফলক' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এই যুগান্তকারী ঘটনাটি মানুষের আয়ু বৃদ্ধি করে স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বড় অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে। জনসংখ্যাগত পরিবর্তন হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবণতার মধ্যে একটি যা আমাদের বিশ্ব এবং বিশ্বব্যাপী পরিবারগুলির জীবন ও মঙ্গলকে প্রভাবিত করে।
পরিবারকে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু বিবেচনা করে পরিবারের সব সদস্যের সুখ ও সমৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা অপরিহার্য। তাই পরিবারের সবার সুস্বাস্থ্য, শান্তি ও সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার প্রতিও সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে এবং বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরতে সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস পালনের উদ্দেশ্য এবং বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে পরিবারের গুরুত্ব তুলে ধরতে সভা-সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যালি জাতীয় নানাবিধ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে।একইভাবে এ বছরও নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
Comments