অতিরিক্ত ঘামেন? জেনে নিন সমাধান

গরমের কারণে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে তা স্বাভাবিক রাখতে ঘাম হয়। গরমে কিংবা শারীরিক পরিশ্রমের কারণে শরীর ঘেমে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু অতিরিক্ত ঘাম শরীরে পানিশূন্যতা, অস্বস্তি ও দুর্বল অনুভূতি তৈরি করে।
অ্যাক্রিন ও অ্যাপোক্রিন গ্ল্যান্ড নামক দুই ধরনের ঘামগ্রন্থি থেকে শরীরে ঘাম তৈরি হয়। এর মাধ্যমে শরীরের বিষাক্ত উপাদান বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘাম শরীরের জন্য উপকারী হলেও অতিরিক্ত ঘাম নানা অসুখের ইঙ্গিত দেয়। মস্তিষ্কের হাইপারথ্যালামাসে ত্রুটি, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, হরমোনের সমস্যা ইত্যাদি কারণে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ভাসকুলার সার্জন মার্ক হোয়াইটলি বলেন, 'সামাজিকভাবে সবচেয়ে ক্ষতিকর ঘামের সমস্যা হলো হাতের তালু ঘামা।'
অতিরিক্ত ঘাম শুধু নানা রোগের ইঙ্গিতই দেয় না, শরীরে দুর্গন্ধও তৈরি করে যা বিব্রতকর।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অতিরিক্ত ঘাম থেকে বাঁচতে ক্ষেত্রবিশেষে ডারমাটোলজিস্টরা ওষুধ গ্রহণ, বোটক্স ইনজেকশন নেয়া বা সার্জারির পরামর্শ দেন। তবে এসবের কোনোটিই স্থায়ী সমাধান নয়। প্রতি ছয় থেকে নয় মাসে এই পদ্ধতির পুনরাবৃত্তি করতে হয়।
তাই লাইফস্টাইলে কিছু পরিবর্তন এনে অতিরিক্ত ঘামের সমাধান করাটা ভালো বলে মনে করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. লিটন দেবনাথ। তিনি বলেন, অতিরিক্ত ঘামের সমস্যার সমাধান পেতে প্রচুর পানি পান করতে হবে। ফলের শরবত, গ্লুকোজ, স্যালাইন ইত্যাদি পান করাও বেশ উপকারী।
পাশাপাশি অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। মাত্রাতিরিক্ত চা কফি খাওয়া, মদ ও ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে।
ঘাম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত দিনে দুইবার গোসল করার অভ্যাস করতে পারেন। পোশাকে নাইলন ও পলিয়েস্টার বাদ দিয়ে সুতি বা সিল্ক পরার অভ্যাস গড়ে তুলুন। গরমে ঘাম থেকে ঘামাচি হলে অবশ্যই ত্বকের সে সমস্যার সমাধানের জন্য ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়ার কথা জানান ডা. লিটন দেবনাথ।
Comments