'গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার-আইনের শাসন কায়েম ও সাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন জরুরি'

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
তিনি বলেন,জাতীয় সংসদ নির্বাচন শুধু বিএনপির একার দাবি নয়,সারাদেশের গণতন্ত্রকামী ও মুক্তিকামী মানুষের দাবি।
শনিবার (২৮ জুন) নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
কায়সার কামাল বলেন,আমরা রাজপথের মানুষ, রাজপথে থেকে অভ্যস্ত। আমরা বিশ্বাস করি রাষ্ট্রযন্ত্র যারা চালাচ্ছেন ফেব্রুয়ারির মাঝেই নির্বাচন দিবেন। অন্যথায় বিএনপির মানুষ কিন্তু আবারও রাজপথে চলে যাবে। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য, আইনের শাসন কায়েম করার জন্য এবং সাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য নির্বাচনটা জরুরি।
তিনি বলেন,বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, হয়েছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ১৯ দফাকে সামনে নিয়েই তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠা করেছেন। পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২৭ দফা প্রণীত করা হয়েছে। আর এখন ১৯ দফা ২৭ দফা সব দফার সংমিশ্রণে আগামীর বাংলাদেশকে গড়ার জন্য আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্ম ভাবনাকে মাথায় নিয়ে তারেক রহমান ৩১ দফা প্রণয়ন করেছেন।
তিনি আরো বলেন,৩১ দফার মধ্যে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের কথা রয়েছে, কৃষকের কথা রয়েছে, শ্রমিকের কথা রয়েছে, দিনমজুরের কথা রয়েছে, শিক্ষকের কথা রয়েছে, ছাত্রের কথা রয়েছে, রয়েছে সমস্ত আইনজীবীদের কথা। অর্থাৎ সামগ্রিক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি হচ্ছে ৩১ দফা। সেই ৩১ দফাকে সামনে নিয়ে আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কায়সার কামাল বলেন,বাংলাদেশকে আধুনিক আগামী প্রজন্মের দেশে পরিণত করতে চান তারেক রহমান।
এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন নেত্রকোণা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মো: আনোয়ারুল হক। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল আলম।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ময়মনসিংহ বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ ওয়ারেছ আলী মামুন, আবু ওয়াহাব আকন্দ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী,জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক এডভোকেট মো: মাহফুজুল হক,যুগ্ন আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান খান,তাজেজুল ইসলাম ফারাস সুজাত,বজলুর রহমান পাঠান এবং এস. এম. মনিরুজ্জামান দুদু।
এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে জহিরুল আলম ভূঁইয়া নির্বাচিত হন। এতে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আব্দুল আউয়াল। তারা দুজন উপজেলা বিএনপির সদ্য বিদায়ী আহ্বায়ক কমিটিতে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব ছিলেন।
এই সম্মেলনে দুর্গাপুর পৌর বিএনপির সভাপতি হিসেবে আতাউর রহমান ফরিদ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে হারেজ গণিকে নির্বাচিত করা হয়।
দীর্ঘ সময় পর অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে নেতাকর্মীদের ঢল দেখা যায়। বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামগঞ্জ থেকে আগত নেতাকর্মীদের পদচারণায় দিনভর মুখর ছিল পৌর শহর।
Comments