সকালে ওটস খাওয়া ভালো নাকি খারাপ?

ওটস একটি বিদেশি খাবার। সকালের নাশতায় অনেকেই এ খাবারকে প্রাধান্য দেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, ওটস খেলে শরীরে কোন কোন পরিবর্তন আসতে পারে?
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ১০০ গ্রাম ওটসে আছে এনার্জি প্রায় ৪০০ কিলোক্যালরি, প্রোটিন ১৭ গ্রাম, ফ্যাট ৭ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৬৬ গ্রাম, ফাইবার ১১ গ্রাম। এতে আরও রয়েছে এত রয়েছে আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ফাইবার, ভিটামিন ই, প্রোটিনের মতো অনেক পুষ্টি উপাদান। শরীরকে ফিট রাখতে এটি দারুণ কাজে আসে।
রাশিয়া, কানাডা ও পোল্যান্ড ওটস চাষে সবচেয়ে এগিয়ে। নানা ধরনের ফলের সাথে এ খাবার পশ্চিমা বিশ্বে তুমুল জনপ্রিয়। তবে স্বাস্থ্য রক্ষায় ওটসের অজস্র গুণাগুণের কারণে পশ্চিমা দেশগুলোর গণ্ডি ছাড়িয়ে বাংলাদেশ ও আশপাশের এশিয়ান অঞ্চলগুলোতেও ওটস খাওয়ার হার বাড়ছে।
আসুন এক নজরে জেনে নিই ওটসের উপকারিতাগুলো–
ওজন কমায়
ওটসে বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই সকালে ওটস খেলে সারা দিন আর ভারী খাবার খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। ওটস খাওয়ার পর পেট ভরার একটি অনুভূতি তৈরি হয় যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। পুষ্টি ঠিক রেখে ওজন কমাতে চাইলে নিয়মিত ওটস খেতে পারেন।
উচ্চ রক্তচাপ কমায়
ওটসে প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপকে কমাতে সাহায্য করে। এর সাথে সাথে ওটস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
অনেকেই কনস্টিপেশন বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। এটি হওয়ার কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। এ ছাড়া সঠিক সময়, সঠিক খাবার না খাওয়া, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাসেও কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। এ রোগ থেকে দূরে থাকতে প্রতিদিন ওটমিল খাওয়ার চেষ্টা করুন। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ
ওটস খারাপ (এলডিএল) কোলেস্টরলকে (LDL cholesterol) নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এতে হৃদ্রোগ হওয়ার শঙ্কাও অনেক কমে যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
ওটস ওজন কম করার পাশাপাশি রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ওটসের ফাইবার ইনসুলিনের মাত্রাকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের ওটস খাওয়া অত্যন্ত লাভদায়ক।
সূত্র: হেলথ শটস
Comments